| ১৬ নভেম্বর ২০১৮ | ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ
৪০তম বিসিএসে আবেদনের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ ছাড়িয়েছে। যা প্রায় মালদ্বীপের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিএসে আবেদনের শেষ দিন ছিল। যেখানে আবেদন পড়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার। ফি দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন নিবন্ধন করা আরও ৭৮ হাজার।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নেছার উদ্দিন জানান, ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এবার এর চেয়ে ১ লাখ বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এটা হবে বিসিএসে আবেদনের সংখ্যায় রেকর্ড।
এদিকে মালদ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ২ হাজার ৫৯ জন। যেখানে দেখা যায় ৪০তম বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা মালদ্বীপের জনসংখ্যার সমান।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। আর আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। এবারের মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রশাসনে ২শ, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮শ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে ৪০তম বিসিএস। এই বিসিএসে এবার প্রায় পৌনে ৫ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দিন শেষে ৩ লাখ ৯১ হাজার প্রার্থীর ফি জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও প্রায় ৭৬ হাজার প্রার্থীর আবেদন আছে, যারা ফি দেয়ার অপেক্ষায় আছেন।
সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরির প্রতি শিক্ষিত যুবকদের আগ্রহ এবং পিএসসির প্রতি আস্থা বৃদ্ধির কারণে দিন দিন বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কেননা, বিসিএসে উত্তীর্ণ হলে এখন ক্যাডার সার্ভিসে না হলেও নন-ক্যাডারে চাকরি পাওয়া যায়। এছাড়া বাছাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতাও প্রার্থীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে।
পিএসসির কর্মকর্তারা বলছেন, আবেদনকারী ৪ লাখ ৭০ হাজারের মধ্যে শেষ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে ৪ লাখের আবেদন চূড়ান্ত হবে। সেটি হলে বিসিএসের ইতিহাসে এটাই হবে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীর আবেদন।
এরআগে ৩৮তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।