লেখিকা: ইতি চৌধুরী | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৮:২৩ অপরাহ্ণ
অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ প্রত্যেকটি শব্দ একই সূত্রে গাঁথা। এই সহজ ও সত্য কথাটি আমি বা আমাদের সবারই জানা, তারপরও জীবনের শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমরা ছুটে চলেছি স্বাধীনভাবে স্বাধীন দেশে। ভেবে দেখেছি কি কত শ্রম,মেধা ও রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতাকে আমরা জয় করেছি ! জয়ের আনন্দে আমরা মুখরিত হলেও অতীতকে আমরা যেন কখনওই স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে না ফেলি। একুশে ফেব্রুয়ারীকে একদিনের জন্য শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করি কিন্তু সেই দিনটিকে ঘিরে পিছনে ফেলে আসা অসংখ্য মানুষের নিষ্ঠা ভালোবাসা অক্লান্ত পরিশ্রমের খবর হয়তোবা কেউ জানেন আবার অনেকেই জানেননা। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের আলোকে এটুকুই বলবো যে, স্বাধীন বাংলাদেশের সূত্রটি ছিল আমাদের বাকস্বাধীনতা। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনকে বাঙ্গালী জাতি সফল পরিনতির দিকে এগিয়ে নিতে পেরেছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েছি। আর এই প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের অবদান সর্বাগ্রে আসে তিনি হলেন আমাদের প্রানপ্রিয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, ছিষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন এবং সর্বোপরি এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এই সব কিছুর মাঝে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিলেমিশে একাকার হয়ে আছেন। এই সংগ্রামী নেতাকে হাজার হাজার বাঙ্গালী জনতার ভিড়ে আন্তরিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আমার দাদা মেহেরউদ্দীন চৌধুরী, যিনি তৎকালীন জয়পুরহাট মহকুমার (বতর্মান জয়পুরহাট জেলা) রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি থেকে দেশ মাতৃকার জন্য নিজ অর্থ অকাতরে দান করেছিলেন। এছাড়াও তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। ফলশ্রুতিতে তাঁর অবস্হিত বাসভবন পাক হানাদার বাহিনী জ্বালিয়ে দেয় এবং তাঁর ভাইয়ের ছেলে অর্থাৎ আমার চাচা মাহবুব আলম চৌধুরীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। অনেকেই মাতৃভাষার সম্মান সমুন্নত রাখার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যেমন বরকত,সালাম,রফিক,জব্বার,শফিক। আবার অনেকেই তাদের শ্রম এবং সংগ্রামী চেতনা দিয়ে এই দেশের স্বাধীনতায় অনন্য অবদান রেখেছেন। সেই সব সংগ্রামী নেতাদের মধ্যে আজিজুর রহমান চৌধুরী,নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করি। আমার দাদা মেহেরউদ্দীন চৌধুরীর ভাইয়ের ছেলে আজিজুর রহমান চৌধুরী তৎকালীন জয়পুরহাট মহকুমার (বতর্মান জয়পুরহাট জেলা) মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পরিষদ ও পাঁচবিবি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি মেহেরউদ্দীন চৌধুরীর দুই সন্তান নজরুল ইসলাম চৌধুরী (হায়দার চৌধুরী) ও মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (টুরা চৌধুরী) বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে সফল করতে কাজ করে গেছেন। মেহেরউদ্দীন চৌধুরীদের মত লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মর্ম বুঝতে পেরে ছিনিয়ে এনেছেন আমাদের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয়স্পর্শ করা ভাষন এবং বলিষ্ট ভুমিকায় আজ আমরা পেয়েছি সুজলা সুফলা সোনার এই বাংলাদেশ। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার হাজার বছর বাঙ্গালী জাতির হৃদয়ে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।
লেখিকা: ইতি চৌধুরী
সহকারী অধ্যাপক,
আল হেরা স্কুল এন্ড কলেজ,ঢাকা।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |