লেখক: হাফেজ জসিম উদ্দীন | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ
#বিষয়_আত্মহত্যা
আজকে আত্মহত্যা করেছে বাংলা কলেজের ১ শিক্ষার্থী। সারা দেশের পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই, তবে
গত ১১ মাসে শুধু ঢাবিতে আত্মহত্যা করেছে ৮ জন শিক্ষার্থী। বিশেষজ্ঞরা এই আত্মহত্যা কমানোর কোন উপায় ও দেখছেনা। দেখবেইবা কি করে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা তো জ্ঞান অর্জন করতে করতে মসজিদ মাদ্রাসা গুলোর দিকে খেয়াল করার সময় পায় না। আমি খুব ক্ষুদ্র জ্ঞানী মানুষ কোন বিশেষজ্ঞ বা ঐ পর্যায়ের মানুষের সমালোচনা করার মত কিছুই আমার মধ্যে নাই। তবে এই বয়সে যা দেখলাম কোন মাদ্রাসায় পড়ুয়া হুজুর বা প্রাথমিক শিক্ষা মাদ্রাসায় শিখে তারপর জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে এমন কেউ আত্মহত্যা করেনি। কারণ হিসেবে বলতে পারি নৈতিক শিক্ষা, পরকালের ভয়, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য এগুলো সম্বন্ধে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিতরাই স্পষ্ট জ্ঞান লাভ করে, তাই এই শ্রেণীতে আত্মহত্যা নেই। যদি দেশের প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে এই মিছিল ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকবে। অন্তত সবগুলো প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক রেখে নামাজ, রোজা ও কোরআন তেলাওয়াতসহ ধর্মের অন্যান্য বিষয়ে সামান্য ধারনা দিতে পারলেও এই আত্মহত্যা ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম অনেকটা কমে আসবে। এখন আমাদের মত লোকের পক্ষে এসব করা সম্ভব না, তাই আমাদের সাধ্যমত নিজেদের ছেলে মেয়ে ও আপনজনদেরকে প্রাথমিক শিক্ষাটা অন্তত ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করি। আর নির্বাচনের সময় ধর্মভীরু প্রার্থী ও দলকে ভোট দেই। আপনি আমি বদলাতে বদলাতে একদিন এই দেশটা ও বদলে যেতে পারে। আর আল্লাহর কাছে দোয়া থাকবে আল্লাহ যেন এই প্রিয় মাতৃভূমিতে কালেমার পতাকা উড্ডীন করে দেয়। আমীন