| ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
ভ্যালেন্টাইন ডে’তে সৌদি আরবে এখন আর দোকানের পেছনে লুকিয়ে লাল গোলাপ বিক্রি করতে হয় না। ভালোবাসা আকৃতির চকলেট বিক্রিতেও আর বাধা নেই এখন। এর আগে ২০১৬ সাল সৌদি আরবের ধর্মীয় পুলিশের কারণে এসব বিক্রি করা যেতো না।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপিত হয়।
মক্কার কমিশন ফর দ্য প্রমোশন অব ভার্চু এন্ড প্রিভেনশন অব ভাইসের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ আহমেদ কাজিম আল-গাদমি টিভিতে এক ঘোষণায় বলেন: ভ্যালেন্টাইন ডে’ ইসলামের শিক্ষায় সাংঘর্ষিক নয়। ভালোবাসা উদযাপন শুধু অমুসলিমদের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বব্যাপী ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করা হয় মা দিবসের মতো। এটি মানুষের ইতিবাচক দিক। ফলে ব্যবসায়িক দিক দিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে লাভজনক। বিশেষ করে ফুল ব্যবসায়ী, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, কসমেটিক ও রূপচর্চায়।
চকলেট ও গদিভার মতো মজার ও সৌখিন খাবারের ব্র্যান্ডগুলো ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনে প্রস্তুত ছিলো। একজন স্থানীয় ও শীর্ষ চকলেট ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আন-নুমান ‘রুবাইয়াৎ’ নামের অভিজাত ফ্যাসন সামগ্রী ও ‘ফিতাইহি’ নামের গহনার ক্রেতাদের বিনা মূল্যে চকলেট-বক্স ও ফুল বিতরণ করেন।
বিখ্যাত সৌদি ব্র্যান্ড ‘ফিতাইহি’ ‘ভালোবাসার বালা’ ও ‘দুলের’ জন্যে বিশেষ মূল্যহ্রাস করেছে – যাতে খোদিত ছিলো: ‘অত্যন্ত বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত একটি অনুষ্ঠান’।
নারী স্বর্ণকার নাদিনে আত্তার ভ্যালেন্টাইন ডে’ উপলক্ষে তার ‘নাদিনে জুয়েলারি’র সামনে লিখেছিলেন: ‘ভালোবাসার একটি সফর’। উনি ওখান থেকে আত্মা সংক্রান্ত বিভিন্ন বাণী, আল-কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে কারীমা এবং বিভিন্ন আরবি কবি, যেমন- খলীল জিবরানের দর্শন-উক্তি ও মুতানাব্বীর ভালোবাসার উক্তি ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে যাচ্ছিলেন।
আত্তার বলেন, আমি প্রথমে ভালোবাসার রং ও নিদর্শন হিসেবে গহনাগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে হৃৎপিণ্ডের আকৃতির চুনিযুক্ত সাদা ও হলুদ সোনা ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে গোলাপের নমুনা হিসেবে গোলাপী সোনা ও লাল রঙের একটি আধুনিক সমন্বয় পছন্দ করেছি। এগুলো এ ভালোবাসা দিবসের চমৎকার সমন্বিত রূপ হয়েছে। এ কেনার সুযোগ শুধু ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষেই।
যারা এলুমিনিয়ামের লাল বোতাম ও এলুমিনিয়ামের লাল বালার কারবার করে, তাদেরকেও আত্তার টার্গেট করেন। তিনি বলেন যে, তার প্রত্যাশা, এগুলো তার পরিবারের সম্পদ হবে।
মেয়েদের অন্তর্বাস ব্যান্ড নাইয়োমি ‘নাইয়োমির সঙ্গে রোমান্স উদযাপন করুন’ মর্মে ২৫%-এর বেশি সাশ্রয়ে ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রোমান্টিক অন্তর্বাস বিনা মূল্যে সরবরাহের ক্যাম্পেইন চালু করে।
রেফিত গাইমের মতো ফিটনেস সেন্টারগুলো নতুন সদস্য পদের জন্যে সাশ্রয় ঘোষণা করেছে। আর মেনুয়েল ও আল-তামিমির মতো সুপার মার্কেটগুলোতে বিশেষ বিশেষ চকলেট, খেলনা ভালুক ও লাল গোলাপ বিক্রি হয়েছে।
দ্য ফোরস্কয়ার সিটি গাইড দুপুরের খাবারের জন্যে জেদ্দার ১৫টি রোমান্টিক স্থান তালিকাভুক্ত করেছে। এতে ছিলো ফ্রেঞ্চ রেস্তোরাঁ লি ট্রেইটার, আন্দালুসের জোদিয়াক লৌঞ্জ, পাহাড়ের উপর ইতালিয়ান রেস্টুরেন্ট ২ এবং আল-রওয়াদার জাপানি রেস্টুরেন্ট নজোমি।
সূত্র: আরব নিউজ।