লেখক: মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ
জনগণ তার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে থাকে ভোটের মাধ্যমে।সেই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের দায়িত্বশীলদের ৫ বছরের জন্য যে দায়িত্ব অর্পণ করেন নিঃসন্দেহে সে দায়িত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। ভোটের মাধ্যমে ই জনগণ তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার নেতা নির্বাচন করে থাকেন। তাই ভোটের গুরুত্ব ও অনেক। ভোট একটি পবিত্র আমানত একথা কে না জানে?
কিন্তু ভোটারগণ সেই আমানত টুকু কতটুকু রক্ষা করতে পারছেন? যেদেশের ভোটারগণ ভোটকে পবিত্র আমানত হিসেবে বিশ্বাস করে থাকে সেইদেশের ভোট ব্যবস্থার এই হাল কেন? ভোট ও নির্বাচন নিয়ে জনমনে দন্ধ অবিশ্বাস সৃষ্টি হবে কেন? দেশ স্বাধীন হওয়ার এই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাবার পর ও যদি ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আজও জনমনে আতংকিত হতে হয়, ভোট দিতে পারবে কিনা সংশয় সৃষ্টি হয় তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে?
তা নিয়ে ভাবতে হবে দেশের সচেতন মহলকে।অন্যথায় আগামী প্রজন্মের নিকট নির্বাচন ও ভোটের সঠিক পরিচয় অপরিচিত ই থেকে যাবে।
নির্বাচন ও ভোটের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আজ সেই দায়িত্ব দেশ ও জনগণের কল্যানে পালন না হয়ে তা হয়ে গেছে একশ্রেণীর লোকদের ভোগের মাধ্যম।
রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এখন আর জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ না করে ক্ষমতায় আরোহণ ও অর্থের পাহাড়ে ভাসতে স্বপ্নে বিভোর হওয়ায় আজ পবিত্র ভোটের এই বেহাল অবস্থা।যেনতেনভাবে ভোটকে অপব্যবহার করে ভোটারদের ক্ষমতাহীন করে নিজেদের ক্ষমতায় আসা থাকার অসুস্থ প্রতিযোগীতায় লিপ্ত ঐ শ্রেনী।যেকোনভাবে ক্ষমতায় আসতে হবে এই চিন্তা চেতনায় নির্বাচন ও ভোট ব্যবস্থা হচ্ছে কলঙ্কিত। ভোটারগণ হচ্ছে অপমানিত।
সময় এসেছে, রাজনৈতিকদল ও ভোটারদের, আগামীর বাংলাদেশকে সুন্দর বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাইলে এখনি নির্বাচন ও ভোট ব্যবস্থাকে সুন্দর করার।পাশাপাশি রাজনৈতিক দল গুলোর যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা চেতনা পরিহার করে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুস্থ ও সচ্ছ রাজনীতির পথ খুজে বের করা।
লেখক
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
যুগ্ম সম্পাদক, ইসলামী ঐক্যজোট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।