কে.এম.সুহেল আহমদঃ | ০৫ নভেম্বর ২০১৮ | ৫:৩৪ অপরাহ্ণ
সিলেটের গোলাপগঞ্জের স্বনামধন্য কবি লন্ডন প্রবাসী এ.কে.এম. আব্দুল্লাহ সম্প্রতি বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন।
তাঁর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: সচেতনা, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, মাটির মাচায় দন্ডিত প্রজাপতি, যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি।
উপন্যাস – ক্ষুধা ও সৌন্দর্য। যা পাঠকমনে আজও দোলা দিয়ে যায়।
কবি এ কে এম আব্দুল্লাহ’র ‘যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি’ কবিতাগ্রন্থখানি নিঃসন্দেহে যেমনিভাবে কবিতাপ্রেমী পাঠকের মনের খোরাক মেটাবে তেমনিভাবে আনন্দ, চেতনাবোধ ও অনুপ্রাণিত করে তুলবে পাঠকের মন ।
এই বইটির জন্য কবি এ.কে.এম. আব্দুল্লাহ কাব্যচর্চায় সফল কবিতার কারুকার্য রচনায়,এবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য শান্তিনিকেতন-এর কর্মকান্ড,স্বমহিমায় ভাস্কর,সাংস্কৃতিকপ্রেমী মানুষের স্বপ্নরাজ্য ‘বোলপুর’ এর সৎসঙ্গ পাঠাগার, তাদের একদশক পূর্তি উপলক্ষে এশিয়ার সেরা দশজন কবিকে সম্মানিত স্মারক প্রদানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত প্রবাসী কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহকে কবিতার সফল কারিগর হিসেবে এওয়ার্ড প্রদানের জন্য মনোনিত করা হয়েছে। এ ছাড়া পেয়েছেন ভারতের রাজস্হানের ড.শ্যাম সুন্দর মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ( শতবছর পূর্তি পালন উপলক্ষে) তাদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার রুপি ও একটি স্বর্ণ মেডেল পুরস্কার।
উল্লেখ্য এই সংগঠন প্রতিবছর সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাহিত্যিকদের এ পুরষ্কার দিয়ে থাকে। পেয়েছেন নবধারা সাহিত্য সংঘ সম্মাননা সহ বেশ কিছু সম্মাননা পুরষ্কার।
কবি এ.কে.এম. আব্দুল্লাহ এছাড়াও এ কে এম আব্দুল্লাহ’র রয়েছে বেশ কিছু যৌথ প্রকাশনা।
সম্পাদনা করেছেন অণুগল্প সংকলন ‘শব্দবিন্দু’।
একইসাথে,বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকা, অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা , সাহিত্যব্লগ, লিটলম্যাগ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত লিখছেন।
২০১৮ সাল অর্থাৎ – এবছরের মহান একুশে’র বইমেলায় প্রকাশিত হয় কবিতাগ্রন্থ ‘যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি’।
প্রকাশিত হওয়ার পর,বইটি কবিপাড়ায় ইতিমধ্যে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।সেই সাথে পাঠকের কাছে হয়েছে ব্যাপক প্রশংসিত। তার এই কাব্যগ্রন্থটিতে কাব্যকৌশল,আধুনিকায়ন,উপমা নিজস্বতা আর বাস্তবতার চিত্রকল্প কাব্যজগতে যোগ করেছে এক ভিন্নমাত্রা।
সমাজে ঘটেযাওয়া নানা ঘটনা তার উপলব্দিতে বাস্তবতাবোধের এক শৈল্পিক রুপ যেনো প্রকাশিত হয়েছে প্রতিটি কবিতায়।
‘ যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি’ বইটির উপর বেশ কিছু পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে- জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা দৈনিক জনকণ্ঠ,চ্যেনেল আই অনলাইন, জলধি সহ বিভিন্ন পত্রিকায় এবং সিলেট বেতার থেকে প্রচারিত হয়েছে চমৎকার পাঠপ্রতিক্রিয়া।
কবি এ.কে.এম. আব্দুল্লাহ সিলেট বিভাগের ঐতিহ্যবাহী গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী অঞ্চলের বুধবারীবাজার ইউনিয়েনর বনগ্রামের নন্দিত সন্তান।পিতা মৃত আলহাজ্ব ক্কারী মোহাম্মদ ছুরাব আলী,মাতা মৃত ফাতিরা খাতুন। তিনভাই ও তিন বোনের কনিষ্ঠ সন্তান এ.কে.এম. আব্দুল্লাহ। স্থানীয় প্রাইমারী স্কুল, আল-এমদাদ হাইস্কুল এন্ড কলেজ এবং সিলেট এম সি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। হাইস্কুল থেকেই লেখা-লেখি শুরু করলেও মধ্যে কিছুটা বিরতি শেষে প্রবাসের ব্যস্ততায়ও নিজেকে সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত রেখেছেন নিয়মিত।
এ.কে.এম. আব্দুল্লাহ লেখালেখির পাশাপাশি একজন ভালো সংগঠক। তিনি সংহতি সাহিত্য পরিষদ,কবিতাস্বজন, মেট্রোমেঘ সহ বিভিন্ন সাহিত্য সংঘটনের সাথে জড়িত রয়েছেন। বর্তমানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ (ইউকে) এর কোষাধক্ষের দায়িত্বে আছেন। এছাড়া তিনি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য গঠিত সিলেটের গোলাপগন্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আল এমদাদ হাইস্কুল ও কলেজ এডুকেশন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। কবি এ.কে.এম. আব্দুল্লাহ’র প্রতি অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। তাইতো বলতে হয় কবিকে ” অভিনন্দন লোকে লোকে, আভিনন্দন আলোকে আলোকে।”
আমরা তার কাছ থেকে এভাবে ক্ষুরধার লেখনির নিরন্তর প্রত্যাশা করছি।