অলিউল্লাহ খান, সমাবেশ থেকে, আওয়ার কন্ঠ২৪.কম | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৭:২৭ অপরাহ্ণ
সাত দফা দাবি ও ১২টি লক্ষ্য বাস্তবায়নে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা শেষ করেছে বিএনপি।
৩০ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে জনসভা শেষ হয়।
এর আগে জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, আগামী ৩ অক্টোবর সব জেলায় সমাবেশ করা হবে। ওই সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
ফখরুল আরও জানান, ৪ অক্টোবর রাজধানীসহ সব বিভাগীয় মহানগরে সমাবেশ করা হবে ও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
বিএনপির মহাসচিব সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো:
১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ।
২. খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। তারেক রহমানসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও নতুন কোনো মামলা না দেওয়া। পুরনো মামলায় কাউকে গ্রেফতার না করা, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মতপ্রকাশের অভিযোগে ছাত্রছাত্রী-সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি।
৩. সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
৪. ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা।
৫. নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়াই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা।
৬. সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করা।
৭. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা।
জনসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করে বলেন, জনসভায় অাসার পথে পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। হয়তো জনসভা শেষে মামলা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সমালোচনা করে দুদু বলেন, ‘অক্টোবরের প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশ হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের। বিএনপি নির্বাচনের জন্য তৈরি। কিন্তু খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।’
জনসভায় বিএনপি নেতা জয়নুল অাবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে জেলে যেতে হবে। খালেদা জিয়া জেলে থাকবেন, অাপনি বাইরে থাকবেন, তা হবে না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করা হবে।’
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
এর আগে দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধান অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়াকে রেখে তার আসন ফাঁকা রেখে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়।