| ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১১:০৯ অপরাহ্ণ
সমালোচনা একটি রাজনৈতিক দলকে আরো গতিশীল করে, ক্ষেত্রবিশেষ পথ দেখায়। এজন্যে আদর্শ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গঠনমূলক সমালোচনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যে রাজনৈতিক দলের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি, তাদের সমালোচনাও বেশি হয়। এ কারণেই ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা সব সময়ই বেশি হয়। কারণ, তাদের কাছে মানুষের চাওয়া পাওয়ার বিষয় থাকে।
যাদের নিয়ে কোন সমালোচনা হয় না, তাদেরকে কোন রাজনৈতিক শক্তি বা দল বলা চলে না।
দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে দেশসেরা লেখক, বিশ্লেষকগণ জাতীয় দৈনিকগুলোতে সম্পাদকীয় পাতায় সমালোচনামূলক কলাম লিখেন। এ থেকে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক দিকনির্দেশনা পায়।
হ্যা, অনেক সময় বিত্তিহীন, অমূলক সমালোচনাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, সঠিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সমালোচনার সঠিক জাবাব দেয়া। যেমন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী একবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ সম্পাদকীয়তে ইসলামী আন্দোলন এবং মুহতারাম আমিরকে নিয়ে ভিত্তিহীন সমালোচনা করেছিলেন। আমি সেই উপসম্পাদকীয় কলামেই জবাব দিয়েছিলাম।
কথা হলো, সমালোচনা একটি গতিশীল রাজনৈতিক দলের অবশ্যই হবে। যারা সমালোচনা বরদাশত করতে পারে না, তারা কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীতো দূরের কথা সমর্থক হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না।
অতএব, কারো সমালোচনার জবাবে কাউকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা, কটাক্ষ করা বা যে কোন ধরনের অসহিষ্ণু আচরণ করা কোন সভ্য মানুষের কাজ নয়। ইসলামী আন্দোলনের সমর্থক সেজে বা চরমোনাই’র ভক্ত সেজে এসব যদি কেউ করে, তাহলে আমরা ধরে নিব সে অনুপ্রবেশকারী; আমাদের ক্ষতি করার জন্যই সে এসব করছে। ফেসবুকে এসব আইডিগুলোকে মার্ক করে রাখতে হবে।
কটাক্ষ করা হলো অন্যায়। আর পরিতাপের বিষয় হলো, আমাদের সমালোচনাকারীর চেয়ে কটাক্ষকারীর সংখ্যা বেশি। আমার ভাবতেও অবাক লাগে, এই কটাক্ষকারীদের বেশির ভাগই আবার কওমী মাদরাসার ছাত্র বা শিক্ষক। এদের মধ্যে যারা শীর্ষ উস্কানীদাতা, যারা আমাদের প্রিয় সংগঠন এবং সন্মানিত নেতাদেরকে নিয়ে লাগাতার কটাক্ষ করেই যাচ্ছে, এদেরকে আমরা চিনি। এরা কয়েকজন কওমী মাদরাসার শিক্ষক। আমার অবাক লাগে, এরা কী শিখেছে এবং ছাত্রদেরকে কী শিখায়।
আমি কটাক্ষকারীদেরকে বলছি, তোমরা এ অন্যায় ছেড়ে দাও। দেশের একটি ইসলামী সংগঠন এবং এর শীর্ষ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তোমাদের এই রুচিহীন উপহাস,বিদ্রুপ ও কটাক্ষ তোমাদের জন্যে কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।