| ১৭ জুলাই ২০১৯ | ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ
একদিন শতবর্ষ আগে এক বিদ্যোৎসাহী মহৎ প্রাণ
যঁজ্ঞেশ্বর রায়ের পোষ্যপুত্র জমিদারের নাতি,
প্রজা হিতে আধার নাশিতে দিলেন প্রতিদান;
সেই থেকে প্রফুল্ল চঁন্দ্র রায় দেবী সরস্বতী সম বিদ্যাপতি।
একদিন শতবর্ষ আগে বেজেছিল হ্যামিলনের বাঁশি,
বাঁশির মোহে বই হাতে ছুটিল লুঙ্গি-পাঞ্জাবী পরা কত সুবোধ বালক:
স্বপ্ন ভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি,
খাতার ভাজে থাকত ঝর্ণা কলম,পেন্সিল কিংবা চক।
একদিন নব আলোকের বিচ্ছুরণে জেগেছিল পড়শি
মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে ভীরু পায়ে এখানে এসেছিল যে রমণী
স্বপ্নভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি,
পান্ডিত্যের অবগাহনে বিদূষীনি আজ সাহসী জননী।
শতবর্ষ পরে আজও সেই স্কুল ঘরে বাজে জাগরণের বাঁশি
ছুটে আসে আধুনিক প্যান্ট শার্ট পরিহিত কত সুবোধ বালক;
স্বপ্নভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি
কাঁধে ব্যাগ,বুক পকেটে কলম লভিতে জ্ঞানের সবক।
আজি হতে শতবর্ষ পরে তনু মন প্রাণের সুষম বিকাশে
সভ্যতার পাষাণ প্রাচীর ভেদিয়া ফোটিবে ফুল রাশি রাশি,
বসিবে মেলা যেমনি করে বসেছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর অষ্টাদশে,
রবে স্বপ্নভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি।
আজিকার এ মাহেন্দ্রক্ষণে কবি পাঠালেম অনুজ তোমার জন্যে
মাঠের সবুজ ঘাসে সোনা রোদের খেলা,ছুটির ঘন্টার উল্লসিত ছুটে চলা;
বয়ঃসন্ধি কালের না বলা প্রেমাবেগ,স্নেহ-ভক্তি রীতি গুরুজনে;
টিফিনের ফাকে খোশ মেজাজি মধুর কথামালা।
প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে তুমি
একদিন বিশ্বটাকে করবে জয়,মিলবে অন্য এক পরিচয়;
শেষের পদ চিহ্ন টুকু বলে দিবে কোথা হতে এসেছিলেম আমি;
তোমার গৌরবে গরবিনী হবে কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়।
💻এস এম শাহনূর
(উইকিপিডিয়ান,কবি ও গবেষক)