লেখক: এম.ডি সালাহ উদ্দিন | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ | ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
এই লিখার প্রথম পর্ব আমরা কয়েকটি প্রশ্ন দিয়ে শেষ করেছিলাম, সেই সুত্রে – এখন আমরা সেই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুঁজার চেষ্টা করবো।
সেই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে, প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে –
রাষ্ট্র কি?
মানুষের জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা কি?
আমরা জানি এবং দেখতে পাচ্ছি যে,জগতে প্রাণী মাত্রকেই বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য সংগ্রহের পিছনে শ্রম দিতে হচ্ছে, এবং শ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত সম্বল’ই তার বেঁচে থাকার পিছনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বিপরীতে, বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র গুলোর নীতিমালা বা সংবিধানে’ও সেটা’ই লিখা আছে যে – কাজের বিনিময়ে খাদ্য।
চুরির বিনিময়ে খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করাকে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক আইনে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এবং, বিশ্বজুড়ে বাস্তবতা এটাই যে- মানুষ মাত্র’ই সে তার নিজের শ্রমের বিনিময়ে নিজের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের সংস্থান করে যাচ্ছে।
এই যে স্বতস্ফূর্ত সত্য আমাদের সামনে প্রতিষ্ঠিত আছে, সেটা দেখতে পারার পর স্বাভাবিক ভাবে’ই প্রশ্ন এটা এসে যায় যে – আমি এবং আমরা নিজেরাই যখন নিজেদের সবকিছুর সংস্থান করছি, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অধিনস্ততা, আমার বা আমাদের প্রয়োজন কোথায়?
আমার বা আমাদের পেছনে রাষ্ট্রের ভুমিকা’ই বা কি?
সে বিষয়টা জানার জন্য, প্রথমে আমাদের জানা উচিৎ –
রাষ্ট্র কি?
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা কে কি ভাবে দিয়েছেন সেসব দিকে না গিয়ে, আমরা যদি মনে করি যে – নির্ধারিত একটি নীতিমালার অধীনে, নির্দ্দিষ্ট একটি ভূখন্ডে অবস্থিত মানুষ, প্রাণী এবং প্রকৃতির সকল কিছু নিয়ে যে কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয় সেটাই রাষ্ট্র।
অতপর – রাষ্ট্রকে পরিচিত করবার জন্য আমাদের এই সংজ্ঞা আপনাদের কাছে যদি যথার্থ বলে মনে হয়, তা হলে – আমরা এর প্রথম সূত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আমরা প্রথমে যে সূত্রটিকে টেনে এনেছি সেটি হচ্ছে – নির্ধারিত একটি নীতিমালা বা সংবিধান।
আমরা বলতে চেয়েছি যে- একটি রাষ্ট্র, রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য, প্রথম সর্তটি’ই হচ্ছে – নির্ধারিত একটি নীতিমালা বা সংবিধান।
এরপর, আমরা দেখবো, বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র গুলো, রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য প্রথম সর্ত হিসেবে নীতিমালার বা সংবিধান নামে যে সর্তটি সবার সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে, সেই নীতিমালা বা সংবিধানটি কি?
কি লিখা থাকে সেখানে?
কারা লিখেন সে গুলো?
রাষ্ট্রের কল্যাণে সে গুলোর অবদান কি?
অতপর – প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যুগে যুগে যাদের হাতে ঐ নীতিমালা বা সংবিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তারা কি সেসব নীতিমালা বা সংবিধান গুলো যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন?
উত্তর যদি নেতিবাচক হয়, তা হলে প্রশ্ন রইলো –
কেন পারেন নি?
সে নীতিমালা বা সংবিধান কি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর ছিলোনা?
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম সর্ত’ই যখন বাস্তবায়ন হয়নি, তখন – রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সার্থকতা কি?
এইসব নীতিমালা বা সংবিধান, বাস্তবায়নের পথে প্রতিবন্ধকতার মূল হোতাই বা কারা?
আপনারা উত্তর খুঁজতে থাকুক,আমরাও খুঁজে চলেছি, পরের পর্বে – আমাদের খুঁজে পাওয়া উত্তর নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো, তখন শুধু মিলিয়ে দেখে নেবেন।