| ০৮ এপ্রিল ২০২২ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
মো: সামছুদ্দিন সবুজ: পৃথিবী জুড়ে মুসলিম জনগোষ্ঠী সিয়াম পালন করছেন। আত্মশুদ্ধির এই মাসটিকে আমরা মুসলিমরা মনে করে থাকি রহমত, বরকত ও নাজাত এর মাস। মাসটির আগমনকে স্বাগত জানিয়ে তাই মিছিলও করা হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রমজান মাসে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া। একি সাথে এটি লজ্জার অধ্যায় রচিত করে।
পবিত্র রমজান মাসে প্রতি শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়তে মুসল্লিদের ঢল নামে। মানুষ পূণ্য অর্জনে ব্রত হয়। নামাজ পড়ার পাশাপাশি দূর্বলের জমি যে সবক সবলেরা দখল করে আছেন তা প্রকৃত মালিকদের এই রমজানে যদি বুঝিয়ে দিতেন ? এবং এতদিনকার জবর দখলের জন্য ক্ষমা চাইতেন? তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সন্তুষ্ট হতেন।
মাহে রমজানে মসজিদ কমিটি বাড়তি দায়িত্ব পালন এর মাধ্যমে আল্লাহ্’র প্রতি, ইসলাম ধর্মের প্রতি গভীর ভালোবাসার পরিচয় প্রদান করেন। তাদের এই শ্রমের প্রতি সাধারণ মুসল্লিদের রয়েছে সম্মানবোধ। মসজিদ কমিটির প্রতি মানুষের আরো শ্রদ্ধা সম্মান বৃদ্ধি পেতো যদি তাদের মধ্যে যারা সুদ এর কারবার করেন তা ত্যাগ করলে। অন্তত যদি এই রমজানে তারা প্রতিজ্ঞা করেন- ভবিষ্যতে আর কখনো সুদ, ঘুষ ইত্যাদি মন্দ কাজের সাথে সম্পৃক্ত হবেন না।
রমজান মাসে বহুজনের উদারতার পরিচয় ফুটে উঠ। এতো বড় মহৎ কর্ম সাধন। তবে কেউ কেউ সেই দানটুকুর বহুল প্রচার প্রত্যাশা করেন। যার জন্য আবার অর্থও ব্যয় করেন। তারা দান গ্রহিতার ছবি তুলে প্রকাশ করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। তাদের ভাবনায় আসেনা দান গ্রহিতার সম্মানের কথা। তাদের সব ভাবনা আত্ম প্রচারকে কেন্দ্র করে। যদি এই রমজানে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়। কতোইনা সুন্দর হবে আমাদের ধনী গরীবের সমাজ।
রমজানের শিক্ষা আমাদেরকে অর্জন করে সেই অনুযায়ী চলার অব্যাহত চর্চা করতে হবে। আমাদের শুদ্ধ হৃদয়ের সমষ্টিতে দেশ ও দশ হোক সুন্দর আরো সুন্দর।