কে.এম. সুহেল আহমদঃ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮ | ৮:১৭ অপরাহ্ণ
বাংলার অপরূপ প্রকৃতি আর প্রাচীন ঐতিহ্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ৯নং সুজানগর ইউনিয়ন। স্বাধীনতার পর থেকে অবহেলিত এ অঞ্চল। অতীব দুঃখের বিষয় হলো, এ ইউনিয়নের গ্রামগুলোর অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ‘সোনাপুর গ্রাম’। প্রায় ৫ হাজার লোকসংখ্যা নিয়ে গঠিত এ গ্রামের প্রধান যাতায়াতের রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়ে পড়েছে, যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন অসংখ্য দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই আছে। কঠিন সংকট ও সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারী, গাড়ি চালক, স্কুল- কলেজ এবং মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের।
অথচ গ্রামের এ প্রধান সড়ক ব্যবহার করে প্রায় ৪ কিঃমিঃ অতিক্রম করে প্রাইমারী স্কুল, সুজানগর সিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়।
সড়কটি সংস্কারের অঙ্গীকার করেছেন এ পর্যন্ত অনেক জনপ্রতিনিধি। কিন্তু নেতাদের বক্তব্য বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল। জনসাধারণের দূর্ভোগের সুরাহা হলো না।
গ্রামের পাশেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান যার নাম “হেলিপোর্ট”। যেখানে রাষ্ট্রীয় অতিথি বৃন্দ হেলিকেপ্টার যোগে এসে নামেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হওয়া সত্ত্বেও তার পার্শ্ববর্তী রাস্তার এহেন নাজুক অবস্থা যা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এ সড়কটিতে পায়ে হেঁটে চলতেও কষ্ট হয়। নেই কোথাও পিচ-পাথর। উঠে গেছে খোয়া, বড় বড় গর্ত হয়ে আছে সড়কের উপর। বর্ষায় সড়কটির অবস্থা আবাদী জমির মত দেখায়।
বিশিষ্ট সমাজসেবক কাতার প্রবাসী কামরুল বখ্ত আক্ষেপের সহিত তার নিজ গ্রামের রাস্তার এমনি বর্ণনা দেন।
কামরুল বখ্ত তার গ্রামের বেহাল দশা দখে নিজ উদ্যোগে এ পর্যন্ত তিন থেকে চার বার করে কংক্রিট দিয়ে মেরামত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, বিগত ১০টি বছর এভাবে কেটে গেলেও জনসাধারণের দেখা হয়নি সংস্কার কাজ ও ভাল সড়ক। এখন শুধুই অপেক্ষা কবে হবে এ সকল সড়কের সংস্কার।
এমতাবস্থায় তিনি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ সাপেক্ষে দ্রুত পদক্ষেপে গ্রামের এ রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবী জানান।