মোঃ ফারুকুল ইসলাম বিল্লাল | ০২ জুলাই ২০১৮ | ৯:১৮ অপরাহ্ণ
সাতাশি হাজার গ্রামের-রুপ-রস-গন্ধ
শিবপুর গ্রামে প্রবাহমান,
এ বিষয়ে কিছুটা ব্যাখা না দিলে
পাঠক কিভাবে করিবে অনুমান!
যবে গ্রীষ্মের দাবদাহ খরতাপে
কৃষাণ কৃষাণিরা ঘর ছাড়ে,
দিঘির পাশে আম্র কাননের সুশিতল ছায়াতলে
নব আঙ্গিকে শান্তির পরশ পড়ে।
বর্ষাকালে পুকুর,নদী, বিল,ঝিল খালে
কি অপূর্ব যে লাগে নয়নাভিরাম টইটুম্বুর জলে!
হিজল,কদম,শাপলা,শ্বেত কলমির থোকে
মোহনীয় হয়ে হারিয়ে যায় অবচেতন রুপে।
ঋতু রাণী শরতের আনাগোনা দেখে
মায়াবি বলাকার মত মেঘের ভেলা উড়ে নীল গগন পরতে।
শিউলী, শেফালী, শুভ্র কাশ ফুলেরা
পবনের মৃদু আঘাতে সেজে হয় সারা।
হেমন্ত যেন আসেই এখানে নবান্নের বেশে
সোনালী রং পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে।
গৃহস্ত-গৃহিনী দেখে গোলা ভরা সোনার ধান
নব্য রুপে নির্জীব প্রাণে ফিরে যে পায় প্রাণ।
শীত আসে তার স্বতন্ত্র রুপে ধবল কুয়াশা ঘিরে
গভীর রজনীতে টুপটাপ শব্দে কনকনে কাঁপুনি ধরে।
প্রত্যুষে আবার ঊষার উদয়ে ঝলমলে সোনা রোদে
ঘর হতে বেরিয়ে আসে ভীষণ আহ্লাদে।
বসন্ত সেতু ঋতু রাজ সঞ্জীবনী ঋতু
অম্লান,অক্ষয়,অব্যয় তার ধারা,
পূর্ণিমা রাতে কুকিল কুহুতানে
শশী যেন দেয় ধরা।
দখিনা সমীরণে বীনা কারণে
সুরের ঝংকার উঠে মনে,
যেন সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁন
সুর তুলেন এইখানে।
শেষ রজনীতে করুণ সুরে ভাসে মুয়াজ্জিনের আযান,
সকল মুসলমানেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামায পড়িতে যান।
অন্য ধর্মের লোকেরা সব আপন উপাসনালয়ে
ধর্ম ধ্যান করেন তারা সময়ে সময়ে।
পড়ন্ত বিকেলে সোনালী রোদে
মিষ্টি স্নাত হয়ে,
গোধূলী লগ্নে গৃহে ফিরেন সবে
নব অভিলাষ বুকে লয়ে।