লেখকঃ শেখ ফজলুল করিম মা'রুফ, সভাপতি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি। | ১১ অক্টোবর ২০১৮ | ৫:০৮ অপরাহ্ণ
যুক্তরাজ্যে জ্যাকি ডোয়েল প্রাইস নামে একজনকে আত্মহত্যাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জীবনের মতো প্রিয় ও মুল্যবান জিনিসটাই বৃটিশদের কাছে এতো অসহনীয় হয়ে উঠছে কেন?
ব্যক্তিস্বাধীনতা
নারীস্বাধীনতা
অর্থনৈতিক উন্নতি
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
সামাজিক নিরাপত্তা
উন্নত আইনশৃংখলা
আইনের শাসন
সুশাসন
অভাবনীয় বৈজ্ঞানিক সাফল্য
এতো কিছুর পরেও সেখানে আত্মহত্যা প্রবনতা এতো বেশী কেন যে এর জন্য সেখানে মন্ত্রী নিয়োগ করতে হয়?
কারণ আদতে খুবই স্পষ্ট।
মানুষের দুইটা দিক। আত্মা এবং দেহ। পশ্চিমারা কেবল দেহ কেন্দ্রীক বিষয়গুলোতে উন্নতি করেছে। অন্যদিকে ওদের আত্মা মরে গিয়েছে।
দৈহিক দিক থেকে ওরা চরম উন্নতি করলেও মানসিক ভাবে ওরা চরম অধঃপতিত হয়ে আছে। সেজন্যই একটা পর্যায়ে এসে দৈহিক সকল সুযোগ-সুবিদা উপেক্ষা করে ওরা মৃত্যুকে ডেকে নিচ্ছে।
পশ্চিমা সভ্যতার এই পরিনতি পুর্ব অনুমিত ছিলো। আত্মাকে অস্বীকার করে কেবল বস্তুকে কেন্দ্র করে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছে তারর যে এমন মার্মান্তিক পরিনতি হবে সেটা বহু আগেই অনুমান করা গিয়েছে।
পশ্চিমা সভ্যতাকে এখন একমাত্র ইসলামই বাঁচাতে পারে। বস্তু ও ভাবের মাঝে ইসলাম যে সমন্নয় করেছে, জীবনের যে বয়ান ইসলাম দিয়েছে, মানুষের গন্তব্য, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইসলামের যে ভাষ্য সেই ভাষ্যই পারে পশ্চিমা সভ্যতাকে আত্মহত্যা ধরনের বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে।