আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া থেকে | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ | ৬:২৫ অপরাহ্ণ
মালয়েশিয়ায় পুলিশের হয়রানির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন এক বাংলাদেশি। গত ১ জানুয়ারি ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে অনলাইন ভার্সনে এ অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ হলে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। সংবাদে বলা হয়, বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়া এবং পাসপোর্টের মেয়াদ থাকার পরও তাকে গ্রেফতার করে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছিল।
গ্রেফতারের দুই সপ্তাহ পরে তার বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। পরে আইনজীবীর সহায়তায় মুক্তি পেলে মালয়েশীয় পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি ভুক্তভোগী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০)।
সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানায়, অভিবাসীদের ব্যবস্থাপনায় মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রক্রিয়াগত ত্রুটির সমালোচনা করে মোয়াজ্জেমের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘সেলাঙ্গোর অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং কাউন্সিল।’ মালয়েশীয় সংস্থাটির এক সদস্য বলেছেন, নাজিব রাজাকের সরকারের মতো মাহাথির মোহাম্মদের সরকারও সুষ্ঠু সমাধান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। একমাত্র আদালতই পারে রায়ের মাধ্যমে অভিবাসীদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত দিক নির্দেশনা দিতে।
মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত ১ অক্টোবর তাকে মালয়েশিয়ার পুলিশ অভিবাসন আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করে। অথচ তখন তিনি বৈধভাবেই মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তার পাসপোর্ট বৈধ ছিল। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবৈধ বিদেশি কর্মীদের কাজ করার অনুমতি প্রদানের যে প্রক্রিয়া ঘোষণা করেছে, সে প্রক্রিয়ায় বৈধতা পেতে তিনি নিবন্ধনও নিয়েছিলেন। তারপরও মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মোয়াজ্জেমের আইনজীবী আদালতে যুক্তি উপস্থাপনের সময়ে আরেকটি মামলার উদাহরণ দেন, যেখানে আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকার সূত্রে আটক অভিবাসী কর্মীকে মুক্তি পেতে দেখা গেছে। এর প্রেক্ষিতে আদালত মোয়াজ্জেমকে মুক্তির আদেশ দেয়। এদিকে মোয়াজ্জেম হোসেন পুলিশের হয়রানির যে মামলা দায়ের করেছেন তার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে ১৫ জানুয়ারি।
এর মাধ্যমে সরকারের কিছুটা হলেও ‘হুঁশ ফিরতে পারে’ মন্তব্য করে ‘সেলাঙ্গোর অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং কাউ