কেএম সুহেল আহমদ (কাতার থেকে) | ১৪ জুলাই ২০১৮ | ৫:২২ পূর্বাহ্ণ
আল্লামা শামছুল হক ফরীদপুরী( ছদর) সাহেব ( রাহ.) এর সাহেবজাদা ঐতাহ্যবাহী গওহর ডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা রুহুল আমিন ফরীদপুরী’র কাতার আগমন উপলক্ষে ১১জুলাই( বুধবার) থেকে ১৩ জুলাই( শুক্রবার) পর্যন্ত বিভন্ন অনুষ্ঠান কর্মসূচির আয়োজন করেছে ” মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন দোহা- কাতার”।
সেই ধারাবাহিকতায়,
১৩ জুলাই ( শুক্রবার) বাদ এশা ফানার হল রুমে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন দোহা কাতারের সভাপতি ও কাতার ধর্ম মন্ত্রনালয়ের ইমাম ও খতীব মুফতি মাওলানা ফরিদ আহমদ ফরিদী
সভাপতিত্বে ও হাফেজ মাওলানা ক্বারী আবুল হাসানের পবিত্র ক্বোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির নসীহতে আল্লামা রুহুল আমিন ফরীদপুরী বলেন,
যখন নির্দিষ্ঠ সময় চলে আসবে তখন এক মূহুর্ত সময় কাউকে দেয়া হবেনা।সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। এজন্য আল্লাহ সুবহানাতা’লার সাথে যদি তাল্লুক গড়তে চাও তবে সর্বাবস্থায় মউতের কথা স্বরণ করতে হবে। তাই আল্লাহর প্রতি সবার এশক বা মহব্বত থাকতে হবে।
শুধু তাই নয়, আল্লাহ ও তার প্রীয় রাসূল( সাঃ) এর প্রতি মহব্বত ছাড়া সর্ব বিষয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
ক্বোরআনের মহব্বত,তেলাওয়াতের মহব্বত কিসের জন্য? তা হবে একমাত্র আল্লাহ’র জন্য।
মহব্বত কিন্তু তাসাউফের বিষয় নয়।
আল্লাহ ও তার প্রীয় রাসূল(সাঃ) এর প্রতি মহব্বতের প্রকৃত পাগল যারা তারা মুয়াজ্জিনের আযান শুনে আল্লাহ’র প্রীয় বান্দারা দুনিয়ার জীবনে কেনাবেচা করে মু’য়ামেলাত, মু’য়াশেরাত ও দুনিয়ার সব কিছু প্রত্যাখান করে আল্লাহ’র মহব্বতে সাড়া দিয়ে মসজিদে চলে আসে আল্লাহ সুবহানাতা’লার সামনে মাথানত করে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে। আর এটাই হচ্ছে তাদের মৌলিক আনন্দ।
একমাত্র তারাই দুনিয়া ও পরকালে সফলতা লাভ করে।
তিনি আরো বলেন,
এজন্য আমাদের উচিৎ তাড়াহুড়ো করে নামাজ আদায় না করে ধৈর্য্য ও ভাব গম্ভির্য্যের সাথে নামাজ আদায় করতে হবে।
আল্লাহ ও তার প্রীয় হাবীব( সাঃ) এর মহব্বত পবিত্র ক্কোআনুল কারীম ও হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে বিধায়
তুমি পৃতিবীর যেই প্রান্তে থাক না কেন, তোমাকে আল্লাহ ও তার প্রীয় হাবীব ( সাঃ) এর মহব্বত অন্তরে পোষণ করতে হবে।
যেভাবে সাহাবায়েকেরাম (রা.) গণ দেখিয়েছিলেন সেভাবেই।
সেজন্য প্রয়োজন আল্লাহওয়ালা ব্যাক্তিদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা অতীব জরুরী।যেহতু,
দ্বীনী ক্ষেত্রে আল্লাহওয়ালা তথা উলামায়ে কেরামগণ যেই অবদান রেখে যাচ্ছেন তা তুলনাহীন।
মাওলানা রেজাউল করিমের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা মুখলিছুর রহমান( সহ সেক্রেটারী, ইত্তেহাদুল মুসলিমীন দোহা- কাতার)
এসময় উপস্থিত ছিলেন,
দাফনা মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম, আলনূর কালচারাল সেন্টার’র নির্বাহি পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর,
মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন দোহা- কাতার’র সেক্রেটারী মাওলানা মুশাহিদুর রহমা, কেন্দ্রীয় নির্বাহি সদস্য ও নাজামা শাখার সভাপতি মাওলানা শরিফ উদ্দীন, মাওলানা হারুনুর রশিদ,মুফতি মাওলানা ইউসুফ, মুফতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাযহারুল ইসলাম, মাওলানা চৌধুরী হাসান মাহমুদ, সিলেট মিডিয়া ডটকম প্রতিনিধি নাজমা শাখার সেক্রেটারী কেএম সুহেল আহমদ, সহ সভাপতি মোঃ তারেক ও কোষাধ্যক্ষ মোঃ সুমন আহমদ প্রমূখ।
এছাড়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই- বোনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ মায়মুন।
মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি ও দেশ ও দশের মঙ্গল কামনার্থে প্রধান অতিথির মোনাযাত ও নৈশভোজ আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারের পরিসমাপ্তি ঘটে।