মাওলানা কাওসার আহমদ যাকারিয়া | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
একজন আল্লাহ-বিশ্বাসী মুমিনের নিকট ঈমানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় থাকতে পারে না। ঈমান তার কাছে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি প্রিয়। মুমিন এমনই হয়। যে ঈমান তার কাছে এতটা প্রিয়, এতটা মর্যাদার, সেই ঈমান যখন তার মতোই আরেকজন মানুষ ধারণ করে তখন তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি অনিবার্য। এটা ঈমানের ভ্রাতৃত্ব।
এক মুমিন আরেক মুমিনের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। এই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বজায় রাখতে মুমিনদের সচেষ্ট থাকতে হবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনের সূরা হুজরাতের ১০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে_ ‘নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পরের ভাই।’
মুমিনরা যেহেতু পরস্পর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ, সেহেতু মুমিনদের পরস্পরের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ করা হয়েছে, ‘এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই। এক ভাই যেন অন্য ভাইয়ের ওপর জুলুম না করে, অপমান না করে, তুচ্ছ মনে না করে। [মুসলিম শরীফ , মুসনাদে আহমদ]
প্রকৃত মুসলমান হিসেবে নিজেদের দাবি করতে হলে নিজের আচার-আচরণে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এক মুমিন যাতে অন্য মুমিনের কাছে নিজেদের নিরাপদ বোধ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মুসলমানের মুখের কথা ও হাতের কর্মকাণ্ড থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে, সেই তো প্রকৃত মুসলমান
[ বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ ]
পবিত্র কুরআনের সূরা আহজাবের ৫৮ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘যারা ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদের অহেতুক কষ্ট দেয়, তারা অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ বহনকারী।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকের কাজ এবং কোনো মুসলমানকে হত্যা করা কুফরির নামান্তর।
[ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের একটি অভিন্ন সত্তা হিসেবে বিকাশিত হতে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পারস্পরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতিতে মুসলমানরা সবাই যেন একটি দেহ। শরীরের একটি অঙ্গ অসুস্থ হলে পুরো শরীর এর ব্যথায় কাতর হয়।
[ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ]
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তৌফিক দান করুন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |