নেয়ামত উল্যাহ তারিফ: | ১২ মে ২০২২ | ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
উত্তরে হাওয়ায় বেড়েছিলো শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে কৃষক বোরো ধানের বীজ তলায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। কচি ধানের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু দেখে কৃষক হৃদয়ে তৈরি হতো ভালোলাগা অনুভূতি। শীতের তীব্রতাকে কৃষক করতো তুচ্ছ জ্ঞান। ভবিষ্যতে দারিদ্রকে ত্যাগ করার স্বপ্নে থাকতো বিভোর।
নিয়ম করে এতটা দিন তারা শ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ করেছিলো বোরো ফসলের মাঠে। শীতের শেষে অঙ্গে রৌদ্র মেখে ফসলের মাঠে ঘাম ঝরিয়েছেন কৃষক। শীত-গ্রীষ্ম তাদের নিকট পরাজিত হয়েছিলো নিত্য দিন। সুবর্ণচরের ১৩শত হেক্টর জুড়ে চলতি বছরে আবাদ করা হয়েছিলো বোরো ধান। ফলনও হয়েছিল বেশ ভালো। কৃষক মনে ভাবনার উদয় হতো- এবার মুক্ত হবে ঋণ থেকে, কিছু টাকা সঞ্চয়ও বুঝি হবে! কিযে সুখ ছিলো হৃদয় জুড়ে! কিন্তু হায়, সেই স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই রয়ে গেল!
ফসল কাটার সময় প্রকৃতিতে এলো ঘূর্ণিঝড় অশনি। অশনি হলো বোরো ধান চাষীর শনির অন্যতম কারণ। এছাড়াও কারেন্ট পোকা ও শ্রমিকের মজুরি মূল্য বৃদ্ধি এবং কিটনাশকের মূল্য বৃদ্ধি আহত করেছে কৃষক হৃদয়। মঙ্গলের দেখা বুঝি আর হলো না। ঋণগ্রস্থ কৃষকের দু’নয়নে নেমে এসেছে অমাবস্যার আঁধার।
অশনির প্রভাবে সুবর্ণচরে কেবল বোরো ধান নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশের বীজ তলাও।
সুবর্ণচর উপজেলাধিন ২নং চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে আমাদের কৃষকদের অসামান্য ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদেরকে সরকারি ভাবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।