| ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ
জ্বালানি তেলের ওপর কর বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফ্রান্সে দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভের তীব্রতার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের নির্দেশে রাজনীতিবিদ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফ্রান্সের ইতিহাসে গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। আল জাজিরা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে প্যারিসের কেন্দ্রস্থল যেন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারির কথা বিবেচনা করছে সরকার। রবিবার ফ্রান্স সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভাউক্স শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফ্রান্সের যানবাহনে জ্যাকেট রেখে যাওয়ার পর এই আন্দোলন ‘ইয়োলো ভেস্ট’ মুভমেন্ট নামে পরিচিতি পেয়েছে। আন্দোলনকারীদের আনুষ্ঠানিক কোনও নেতা না থাকায় তাদের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শনিবার মুখোশ পরিহিত বিক্ষোভকারীরা প্যারিসের রাজপথে বেশ কয়েকটি যানবাহন ও ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাস্তায় তুমুল সহিংসতার পর রবিবার সরকারের মুখপাত্র গ্রিভাউক্স ইউরোপ ১ রেডিওকে বলেন, আমরা এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি যাতে এ ধরণের ঘটনা আর ঘটতে না পারে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, এমনটা চলতে পারে না যে প্রতি সপ্তাহান্তেই একটি করে বৈঠক করা হবে বা সহিংসতার জন্য প্রার্থনাসভার আয়োজন করতে হবে।
সরকার ঘোষিত তেল স্বাধীনতার নীতির কারণেই দেশটিতে তেলের কর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রতিবাদে গত ১৭ নভেম্বর শুরু হয় বিক্ষোভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তা। ফ্রান্সজুড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা, বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট, কারখানা আর জ্বালানি তেলের ডিপো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফি ক্যাস্টানার বিএফএম টিভিতে বলেন, সহিংসতা রুখতে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পরও মারাত্মক সহিংসতার মুখে পড়তে হচ্ছে। সংঘবদ্ধ আর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রুপগুলো এই সহিংসতার ঘটনা ঘটাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন, তেল নীতি নিয়ে পরিকল্পনা বিষয়ে যোগাযোগে সরকারের ভুল হয়েছে। তিনি এবং গ্রিভাউক্স দুজনেই ইয়োলো ভেস্ট আন্দোলনকারীদের নিজেদের সংগঠিত হয়ে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানান। গ্রিভাউক্স বলেন, যেকোনও জায়গায় আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আর আলোচনায় বসতে তাদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে।
পল মারা নামে মার্সাই শহরের এক বিক্ষোভকারী বিএফএম টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশব্যাপী সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, যা ঘটছে আমরা তার নিন্দা জানাই, তবে তা অনিবার্য। শীর্ষ পর্যায় থেকেই সহিংসতা শুরু হয়েছে। নিষ্ক্রিয়তার কারণে সবচেয়ে বড় দুর্বৃত্ত হচ্ছে রাষ্ট্র।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |