| ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১২:৪৮ অপরাহ্ণ
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন স্থানে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ পরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালে বহু গাড়ি ভাঙচুর এবং দোকানপাট লুট করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ ৭শ’র বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।
বিক্ষোভকারীদের হটাতে কমপক্ষে ৯০ হাজার পুলিশ রাস্তায় নামিয়েছে দেশটি। বিক্ষোভের কারণে বন্ধ ঘোষণা করেছে সকল স্কুল, কলেজ, দোকান-পাট ও বিভিন্ন অফিস আদালত।
বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালানো হচ্ছে বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে হাতুড়ি, বেসবল ব্যাট ও ধাতুর পেট্যাংক পাওয়া গেছে। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের।
এদিকে বিক্ষোভের কারণে পরবর্তীতে বাড়তি কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেওতাতেএখন সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা। বরং ফ্রান্সে জীবনযাপনের খরচ বেড়ে যাওয়া এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েলম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধেপ্রতিবাদ কর্মসূচিচালিয়েযাচ্ছেনতারা।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যঁ রন নিউনিয়েন্স জানিয়েছেন, শনিবার ফ্রান্স জুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজারের মতো ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদকারী।
ফ্রান্স টু টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে প্যারিসসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৭শ’র বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। আর সারা দেশে যে ৩১ হাজারের মতো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮হাজার ১০০ জন প্যারিসে রয়েছেন।’
প্যারিসে বিক্ষোভে অংশ নেয়া চার সন্তানের জননী মিরিয়াম ডিয়াস শনিবার বার্তাসংস্থা এপিকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তোষের কথা ম্যাক্রোঁকে জানাতে এখানে এসেছি। তবে আমি কোনকিছু ভাঙার জন্য আসিনি। কারণ আমার চারটা সন্তান রয়েছে। আমি তাদের জন্য নিজেকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করছি, কেননাতারাআমারব্যাপারেভীত।’