| ১৭ মে ২০১৯ | ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এই হার নির্ধারণ করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, ইসলামী শরিয়া মতে, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব- এসব পণ্যের যেকোনো একটির দ্বারা ফিতরা দেয়া যায়। ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিশমিশ, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
সভায় আরও বলা হয়, দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যে কোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। পণ্যগুলোর স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এ বছর ফিতরার জন্য নির্ধারিত ওজনের আটার দাম ৭০ টাকা, যবের দাম ৫০০ টাকা, কিসমিস ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর ১ হাজার ৬৫০ টাকা এবং পনিরের দাম ১ হাজার ৯৮০ টাকা ধরে এই ফিতরা হিসাব করা হয়েছে।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ছোটবড়, নারী-পুরুষ সব সামর্থ্যবান মুসলিমের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। একইভাবে ফিতরার খাদ্য ঈদের নামাজের আগেই বণ্টন করাও ওয়াজিব। ঈদের নামাজের পর পর্যন্ত দেরি করা জায়েজ নয়। ঈদের এক বা দুইদিন আগে আদায় করলেও কোনো অসুবিধা নেই।
গত বছর ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৭০ টাকাই ছিল, তবে সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ৩১০ টাকা।