| ৩০ নভেম্বর ২০১৮ | ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ
দেশের কারাগারগুলোতে ২৩০ বছর পর প্রথমবারের মতো বন্দিদের ঘুমানোর জন্য বিতরণ করা হয়েছে তুলার বালিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীনের উপস্থিতিতে কাশিমপুর কারাগারে বালিশ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া একইদিনে নেত্রকোণা জেলা কারাগার ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বালিশ বিতরণ ও আইজিপির পক্ষ থেকে কয়েকটি টিভি সেট দেয়া হয় বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
দেশের ৬টি কারাগারে প্রাথমিকভাবে মোট ১৬ হাজার চারশ বালিশ বিতরণ করা হয়। প্রতিটি কভারযুক্ত বালিশের মূল্য পড়েছে ৪৮৬ টাকা। পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দিকে বালিশ দেওয়া হবে বলে জানায় তারা।
কাশিমপুর কারাগারে বালিশ বিতরণ অনুষ্ঠানে আইজি প্রিজন বলেন, কারা ইতিহাসে এই প্রথম বন্দিদের মাঝে বালিশ বিতরণ করা হলো। ইতিপূর্বে প্রত্যেক বন্দি তিনটি কম্বল পেত, যার একটি বালিশ হিসেবে ব্যবহার হতো। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারে বন্দিদের বালিশ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অল্প সময়ের মধ্যে বন্দিদের খাবারের মান উন্নয়ন হবে বলেও জানিয়ে তিনি বলেন, শিঘ্রই কারাগারের বন্দিদের সকালের নাস্তা পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগের রুটির সঙ্গে শুকনা গুড়ের টুকরা দেওয়ার পরিবর্তে সবজি, হালুয়া এবং খিচুরীসহ সপ্তাহের একেকদিন একেক আইটেম নাস্তা সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বন্দিদের নাস্তার ব্যয় হিসেব করে আর্থিক অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ইফতেখার উদ্দীন বলেন, আশা করি এর অনুমোদন ও বাস্তবায়ন অতি শিঘ্রই হবে।
তিনি বলেন, দেশের কারাগারগুলো এখনও ব্রিটিশ আমলের আইন-কানুন অনুয়ায়ী পরিচালিত হচ্ছে। কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার হিসেবে পরিচালিত করতে আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং এজন্য নীতিমালা ও আইনের কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
ইফতেখার আরও বলেন, স্বজনদের সঙ্গে ১৫ দিন অন্তর কারাবন্দিরা টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশে ৬৮টি কারাগারে বুথ স্থাপনের কাজ শেষ হলেই কারাবন্দিরা সে সুযোগ পাবেন।
এছাড়া কারাবন্দিদের তৈরি করা পণ্য ও দ্রব্য বিক্রি করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায়, তার অর্ধেক অর্থও পারিশ্রমিক হিসেবে বন্দিদের দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে তিনি বন্দিদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং কারাগার পরিদর্শন করেন।
এসময় কাশিপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাকারের জেলার বিকাশ রায়হান, ডেপুটি জেলার তারিকুল ইসলামসহ কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।