| ২৪ মার্চ ২০২২ | ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
স্মরণ
১
আমার প্রাণোচ্ছল স্মরণ সভায়
সুন্দরের কল্পনায় মুখরিত জীবন
স্মৃতির সরণী বেয়ে হেঁটে এসো
থেমে গেলে হাসি খুশি আয়োজন।
২
অস্ফুট বেদনায় নীল
তোমার উৎপল চোঁখের জল
আর কম্পমান ঠোঁট
কী যেন কী বলছে অনর্গল।
৩
আমি শত বসন্তের এক ঝরাপাতা
সব কলি ফুটেনা সব পাতাই ঝরে
পদতলে মড়মড় শিশু গড়ে খেলাঘর
খেলা শেষে কেবা মনে রাখে তারে!
৪
ঘোর বৃষ্টিস্নাত দিনে
ভাললাগা ভালবাসার কোন গানে
ধূসর বিস্মৃতির স্মরণ
সহসা অশ্রু ঝরাবে আঁখি কোণে।
২৩ অক্টোবর ২০২০ইং
টিটিসি ডরমিটরি, বরগুনা।
[কবিতাটি বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আসলাম সানি ভাইকে উৎসর্গীকৃত।
শীতের বাঁশী বাজেরে
শীত এলো নব বধূর মত কুয়াশার ঘোমটা পরে
শীত এলো দিনমজুর,কৃষাণ-কৃষাণী,নিরন্নের ঘরে।
পৌঁষের হিম কুয়াশায় জবুথবু সরিষে ফুলের মৌ
পুকুর ঘাটে জলকেলিতে আসেনা মেহেদী রাঙা বউ।
শীত এলো সহসা সারাদিন ভর সূর্য পেতেছে আড়ি
থমকে গেছে পল্লীজীবন,থামেনি নাগরিক জীবনের ঘড়ি।
তীব্র শীতেও ভারচুয়াল কেড়ে নিয়েছে কিশোরীর প্রথম পরশ থর থর থর
ঠুনকো স্বার্থের কারণে ভেঙ্গেছে কত ঘর,আপন হয়েছে পর।
শীত এলো ধূমায়িত ভাপা পিঠা,খেজুর তাড়ির রসে
দূর্ব্বা ঘাসে শিশির বিন্দু হাসে অকৃপণ শীতের পরশে।
একান্নবর্তী সুখী পরিবারের সুখ পরকীয়ায় কোণঠাসা
স্নানেই যেন সব ধুয়ে যায়,ধূয়ে যায় স্বর্গীয় প্রেম ভালবাসা।
শীতের মিহেল হাওয়ার স্পর্শে আজ প্রাণে প্রাণে বাঙালি নাম
সকল ভেদাভেদ ভুলে একই অনুভবে সাজুক শহর আর গ্রাম।
ধনীর প্রাসাদে আছড়ে পড়ুক হাড় কাঁপানো অদম্য শীত
বিবসন বসনা মনে জাগ্রত হোক সেবা ও কল্যাণ মুখী গীত।
জুপরী ঘরে,খুপরী ঘরে,শীত বসেছে ঘাপটি মেরে
ঘণ কুয়াশায় কাছের মানুষ অদৃশ্য হয় দুহাত পরে।
অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে ভবঘুরে,পথ শিশু সব
নেমে গেছে শুন্যের কোঠায় পাখপাখালির কলরব।
বুড়ো বুড়ির ভীষণ কষ্ট এই নিদারুণ শীতের কালে
নাইতে গেলে ধরে কাঁপন,না হাত দেওয়া যায় জলে।
শীতের বাঁশী কেড়ে নিলো খোকার মুখের হাসি
খুকীর গালে পড়েনা টোল,দোর খুলেনা পড়শী।
বাদলা হাওয়ার ঝাপটা মেরে ক্ষণিক নামে বৃষ্টি
আহা!সূর্য্যি মামার দেখা পেলে লাগত ভারী মিষ্টি।
দেখা হয়না চাঁদের বুড়ির সুতাকাটা,হয়না দেখা চাঁদ
লাশের মত অধরে কাপড় জড়িয়ে কাটে সারারাত।
মাঘের শীতে কাঁপে বাঘ,কাঁপে সিংহের ধূসর কেশ
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া কাঁপে,কাঁপে সারাদেশ।
রচনাকাল:
২১শে ডিসেম্বর ২০১৯ইং
রাত-১১ঃ৩০ মিনিট।
রূপসা নদীর তীরে। খুলনা।
মহাপাপ
আমরা গড্ডালিকা প্রবাহে চলি
আমরা চালাক হুজুগে বাঙালি।
চৌদিকে ছয়দিকে দশদিকে হাহাকার
সব বধির দিবাকানা কে শুনে কথা কার?
মানুষ ‘মানব জাতি’ আর কী জাতপাত
তবু কেন শত কাজে ধর্মের অজুহাত!
বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান
মিলেমিশে থাকে হেথা সব মুসলমান।
সহসা শান্তির ধরাধামে ঘটাতে জঞ্জাল
কোথা থেকে নেমে আসে অশুভ চন্ডাল?
কোরআন পুরাণ বাইবেল চষে কী লাভ?
মানুষ হয়ে মানুষেরে ঘৃণা এ যে মহাপাপ!
কোয়ারান্টাইন ১৯/৩
মোংলা পৌরসভা
২১ অক্টোবর ২০২১।
গেঁয়ো যোগী ভিক্ষা পায়না
একযে ছিল সুবোধ বালক সোনা নাম
দশগ্রামে ছিল তার অনেক বেশি দাম।
গুরুজনে ভক্তি করত,ছোটজনে স্নেহ
জ্ঞানগুণে তুল্য তার ছিলনা আর কেহ।
একদিন সোনা নিমগ্নে শূন্যের সাধনায়
লাভ করল সত্য বাণী সত্য আরাধনায়।
মনো ব্যথা ত্যাগের কথা বলে পথে পথে
কত মানুষ ঘর ছাড়ল চড়ল সোনা রথে।
সোনা যখন মহাযোগী বহুত বছর পর
ঘরের ডাকে সাড়া দিল নির্মোহ অন্তর।
সাত পুরুষের জন্মভিটায় ফিরলে যোগী
ত্যাগির দেখা পায়না দেখে সবাই ভোগী।
সত্য বাণী তিতা তাতে মিথ্যার নেই লেশ
যোগীর কথায় গাঁ চলেনা তন্ত্র চলে বেশ।
গাঁয়ের মায়ায় যোগী ভিন দেশে ন’ যায়
ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে বারেক ফিরে চায়।
১৯/২বিল্ডিং, কোয়ারান্টাইন
মোংলা পৌরসভা
২৪ অক্টোবর ২০২১।
মঙ্গল কাব্য
নববর্ষ পদ্য লেখার এক সাদা খাতা
লেখা হবে আনন্দ বেদনার কবিতা।
নতুন বর্ষে স্বপ্ন দেখি বিদায় পুরাতন
কষ্ট দুর্দশা ভুলে আজ উদ্বেলিত মন।
হতাশা অশ্রুসিক্ত চোঁখ দেখেছে বিশ্ব
নববর্ষ পদ্য লেখার এক সাদা খাতা
লেখা হবে আনন্দ বেদনার কবিতা।
নতুন বর্ষে স্বপ্ন দেখি বিদায় পুরাতন
কষ্ট দুর্দশা ভুলে আজ উদ্বেলিত মন।
হতাশা অশ্রুসিক্ত চোঁখ দেখেছে বিশ্ব
গতবর্ষে করোনা রুক্ষতা করে নিঃস্ব।
নতুনের সাথে হোক সাহসী আলিঙ্গন
মঙ্গলময় ভালবাসায় হবে প্রেম চুম্বন।
১ জানুয়ারি ২০২১ ইং।
শিপইয়ার্ড, খুলনা।
ঈদ শুভেচ্ছা
আকাশের বিশালতা,অরণ্যের সজীবতা,
সাগরের গভীরতায় মনের গহীন থেকে
আপনাকে জানাচ্ছি ঈদ মোবারক।
সুখরাঙা প্রীতিময় হোক আপনার সারাটি ভুবন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক দুনিয়াবি জীবন।
আমিন।
শুভ জন্মদিন
কে আমারে জন্মদিলো,কোন কারণে ভাই?
একটু তোমার সময় হবে? বলে যেতে চাই।
মানুষ রূপে জন্ম দিলেন খোদা মেহেরবান,
জঠর থেকে মা বাপ মিলে করেছেন এহসান।
কে করিল এত সুন্দর তনু মন প্রাণ গঠন?
কে করিল দুনিয়ার সব বোর্ণীল আয়োজন?
কে রচিল চাঁদ তারা আমার খেলার সাথী?
সাঁঝ সকালে দিবাকরের সাথে কত মাতামাতি!
মায়ের পেটে ঘুমিয়ে ছিলাম দশ মাস দশ দিন;
জন্ম নিয়ে দোলনায় দোলে কাটলো কিছু দিন।
মুখে মধু,মুখ ভাত করে কাটলো শিশুকাল,
কখন যেন যৌবন আসলো জীবন টালমাটাল।
যা পেয়েছি তা খেয়েছি হালাল হারাম নাই,
এমনি করে বলো কয়দিন টিকে থাকা যায়?
বাহু বলে,কলম বলে,বহু ছলে কেটে যাচ্ছে দিন;
যেজন আমায় সৃজন করলো কি হবে তাঁর ঋণ?
সোনার দেহে ঘুন ধরেছে শব্দ শুনা যায়,
বার্ধক্য ডাকছে আমায়,”আয়রে কাছে আয়”।
কথা ছিলো ধরণীতে রবের করব বন্দেগি,
হেলায় খেলায় কাটিয়ে দিলাম হিরে জিন্দেগি।
যদি কাটে খোদার প্রেমে তিন’শ পয়শট্টিটি দিন,
তবেই বন্ধু বলো আমায়,”শুভ জন্ম দিন”।
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইংরেজি।
পৃথিবীর ভৌগোলিক মানচিত্রের ৩৩ ডিগ্রি (উত্তর) ও ৩৫ ডিগ্রি (পূর্ব) এর কৌণিক বিন্দুস্থলের ১হাজার মিটার বৃত্তের মধ্যে। ঐতিহাসিক ভূমধ্যসাগরে অবকাশকালীন সময়ে রচিত।
মানুষ
ও মানুষ তুই মানুষ হবি কবে
মৃত্যুর পরে নাকী তার আগে?
আমি পুরুষ সত্য,মানুষ হতে পারিনি
খুঁজে ফিরি লিঙ্গভেদ মানুষ খুঁজিনি!
‘মানুষ মানুষের জন্যে,জীবন জীবনের জন্যে’
এ কথা হৃদয়ে লালন করেনি গর্ব অহংকারে,
মানুষের তৈরী কিছুই নেই আজি প্রয়োজনে
মানুষ বন্দী ঘরে,খাঁচার পাখি আকাশে উড়ে।
১১ মে ২০২০ইং।
পদ্মা,
রূপসা নদীর তীর, খালিশপুর, খুলনা।
মন্দবাগ ট্রাজেডি
ফুল তুমি রাতে ফুটিয়া প্রভাতে গেলে ঝরে
তোমার নিরবতা দেখে মন যে কেমন করে।
পঁচা কানুনের বিরুদ্ধে তোমার নিরব প্রতিবাদ
মিটিয়ে দিলো আমার অপারগতার যত সাধ।
বড়ই অভিমানী তুমি যান্ত্রিক জীবনের পরে
কোন কাননে ফুটেছিলে,জন্মেছিলে কোন ঘরে?
আজ তুমি চোঁখের কোণে এক ফোটা লোনা জল
ঘুমিয়ে থাকো পরপারে যেথায় জান্নাত সুশীতল।
“কুল্লু নাফসিন যাইক্বাতুল মাউত”
প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।
সুরা আলে ইমরান,[ আয়াত ১৮৫ ]
(১২ নভেম্বর ২০১৯ ভোরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে শিশু ছোঁয়া মনির নিষ্প্রাণ ছবি দেখে শোকাভিভূত কবি কথা)
জাগো বিবেক
তোমাদের গড়া এই পৃথিবীতে নাইবা থাকুক প্রাধিকার
ভবঘুরে,পথ শিশু ওরাও মানুষ আছে বাঁচার অধিকার।
চায় না পোলাও কোপ্তা বিরিয়ানি জুটে যদি ডাল ভাত
অপলক চেয়ে থাকে যদি বাড়িয়ে দাও অকৃপণ হাত।
হতে পারতো তার জন্ম তোমার ধনী পিতা মাতার ঘরে
তোমার জন্ম যদি হতো অর্ধাহারে বেঁচে থাকা সংসারে,
রোদে পোড়ে বৃষ্টিতে ভিজে জীবন নদী দিতে হত পাড়ি
ঝুপড়ি ঘরে রাস্তার ধারে কিংবা ল্যাম্পপোস্ট হত বাড়ি।
এমন করে কেউ কী ভেবেছো বৈশাখী বৃষ্টি বিলাস দিনে
মানবতার ঝড়ে ঝরেছে কি অশ্রু যুগল চোখের কোণে?৩০ এপ্রিল ২০২০ইং।
পদ্মা,
খালিশপুর, খুলনা।
ইফতি জাফরহাইটস
কর্ণফুলীর বাতাসে মন হয় গো উতলা
খোলা থাকে দক্ষিণের চাঁদের জানালা।
ঢাকার নেই ফাকা,খুলনাও নয় খোলা
বন্দর নগরীর স্মৃতি যায় কী গো ভুলা?
সুপরিচিত আজিজ মিয়ার গোডাউন
এখন সুরম্য হাইটস আপ এন্ড ডাউন।
বিনিসুতায় বাঁধা ওগো চব্বিশ পরিবার
সুখে দুখে বিপদে আপদে সবাই সবার।
চাটগাঁ থাকি যদি এটিই স্থায়ী ঠিকানা
এসো বন্ধু বর্ষা শীতে নেই কোনো মানা।
তিতুমীর।২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং।
ডাকাতিয়া নদী
নন্দিত গানের কবি মিলন খানের শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত নদী
ডাকাতিয়া নাম তার,মোলহেড ঘূর্ণাবর্ত থেকে অহর্নিশি বয়ে চলে নিরবধি।
হুইসল বাজিয়ে ঢাকার পথে চলে যায় রাতের সিনবাদ
পূবের হাওয়ায় দুলি বসে আমি জাহাজের মাস্তুলে
আকাশে উঠেছে থালার মত গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ।
আমি পথিক কবি,জলের কবি চাদের সাথে কথা কই
তারার সনে হেসে খেলে ঝিকিঝিকি জলের সনে পাতি সই।
নদীর এই ঘোলা জলে হয়তো কবি করেছেন স্নান,
হয়তো কবি সাঁতরিয়ে গিয়েছেন এপার থেকে ওপার,
হয়তো কবি এই ঘোলা পানি করেছেন পান ।
হয়তো কবি কখনো এখানে ধরেছেন ভাসা মাছ
হয়তো কবি ডাকাতিয়া নদী তীরে দীর্ঘকাল করেছেন বসবাস।
পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়া তিন নদীর মিলন মোহনা
এখানে গড়ে উঠেছে চাঁদপুর শহর নেই অজানা।
মোলহেড রক্তধারা ইলিশ চত্বর
উত্তরে রেখে
কবির শৈশবের নদী কুলকুল করে বয়ে গেছে এঁকেবেঁকে ।
দক্ষিণে পুরান বাজার, পুরান বাজার শাহী জামে মসজিদ বহু প্রাচীন ঘরবাড়ি,
পূর্বে পুরাতন লঞ্চঘাট রেলস্টেশন,একটু সামনে গেলেই পুরান বাজার ব্রিজ বেঁধেছে দুই নগরী।
নদীর দুই তীরে কত স্থাপনা,গাছপালা,কত ঘর বাড়ি।
এখনো ঘোলা জলে ডুব দেয়, সাঁতার কাটে লেংটা ছেলের দল,ঢ়
রোদে পুড়া কুচকুচে কালো দেহখানি ব্রজেন দাসের মত সাঁতার কেটে পার হয় কাকচক্ষু জল।
চলন্ত বালি বোঝাই নৌকায় উঠে লাফ দেয় জাফ দেয় ডাকাতিয়ার জলে,
এক আকাশ আনন্দ বুকে নিয়ে ভাসে একদল বাঁধনহারা ছেলে।
তিনি এখন আর শব্দ দূষন মুক্ত চাঁদ সওদাগরের শহরে থাকেন না।
তিনি এখন আর বিশুদ্ধ অক্সিজেন যুক্ত জেলা শহরে থাকেন না।
তিনি এখন আর ডাকাতিয়া নদীর তীরে থাকেন না।
তিনি এখন আর ডাকাতিয়া নদীর তীর ধরে খালি পায়ে হাঁটেন না।
তিনি এখন আর খালি পায়ে ডাকাতিয়ার পানিতে নামেন না।
তিনি থাকেন হাজারো নিয়ন বাতির আলো ঝলমলে শহরে
তিনি থাকেন জ্যামে ঠাসা শব্দ দূষণের নগরে।
তিনি থাকেন বায়ু দূষণের ভাগাড়ে।
তিনি থাকেন অট্টালিকার রাজধানীতে
তিনি থাকেন আভিজাত্যে মোড়ানো সোসাইটিতে,
তিনি থাকেন ক্যাসিনো পাড়ায়,জুয়াড়ি, ঘুষখোর দালালদের বাড়ির পাশে
তিনি থাকেন বিবেকহীন মানুষরূপী বড় সাহেবদের আশেপাশে।
সময়ের প্রয়োজনে রুটি রুজির সন্ধানে উচ্চবিত্তদের মাঝে করেন বাস
তবে মধ্যবিত্তের অন্তর তাঁর ডাকাতিয়া নদীর জন্য পুড়ে বার মাস।
[৫ জুন ২০২০ইং, বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ ঘাট,
ডাকাতিয়া নদীর তীর, চাঁদপুর]
পুরস্কার
নোবেল কমিটি সত্যিই বেরসিক
মরণোত্তর পুরস্কার রাখেনি এক
দুই,গণিত বিষয়ে নোবেল প্যাক!
মরণোত্তর পুরস্কারই ভাল, কারণটাও জানা,
বাছাই কমিটিকে সরষে তেল মারতে হয়না
শত ক্যামেরার সামনে নাজেহাল হতে হয়না
হিংসুটেরা গুষ্ঠি উদ্ধার করলেও দেখা হয়না।
জীবদ্দশায় পুরস্কারের আশা করে বোকারা
ভালবাসার বিনিময় চায় রাতের তেলচোরা।
মুক্ত পথিকেরা নিজের ভুলে আজ পথহারা
সাহিত্যে ধরে বাজি নিজেই সাজে অপ্সরা।
মোংলা পৌরসভা।
১৯ মার্চ,২০২২।
এপ্রিলের বোকা
ধনে রণে কোথা সুখ;
ধনীর মনে বড় দুখ।
কালের স্নেহ বিনয়
স্বার্থ ভরা অভিনয়।
হিজাবে অপমান;
নগ্নতায় সম্মান!
একটা পদবি চাই;
মরে যাক ভাই।
কাজ পেতে ঘুস;
কাজীর কী দোষ।
সব শালা চোর;
নিশি এখন ভোর।
মিষ্টি কথার ঢালী,
ইতি গুড়ে বালি।
গড়ে প্রসাদ বাড়ি;
মন চায় অপ্সরী।
অমরত্বের গোটা খায়,
তবু কেন চির বিদায়?
অহর্নিশ চলছে ধোকা
কেযে এপ্রিলের বোকা?
মোংলা পৌরসভা।
১ এপ্রিল ২০২২।
সাগর দানব অশনি
রক্তবরণ চোঁখ রাঙিয়ে তেড়ে আসে হুমহুমিয়ে
লঘুচাপের রেখা ছেড়ে নিন্মচাপের শক্তি নিয়ে
সাগর দানব হামলা করে সুন্দরবনে জীর্ণ গাঁয়ে।
আত্মহনন নৃত্যের তান্ডবে চলে শহর বন্দর হাটে
আবার সে যে জেগে উঠে মরন ঘুমের তন্দ্রা টুটে
প্রকৃতি এক আজব বিষয় নিত্য কত কীযে ঘটে!
একই দানব হরেক নামে ঘুরে-ফিরে দেশে দেশে
যম দূতের আগে হাঁটে বজ্র বৃষ্টি আওলা কেশে
আইলা সিডর আতংক এক ব দ্বীপের বঙ্গদেশে।
মোংলা পৌরসভা।
৯ মে ২০২২ ইংরেজি।