| ১২ জুলাই ২০১৮ | ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ
রাসেদের মা সালেহা বেগম বলেন, ভাগ্যক্রমে গতকাল মঙ্গলবার মিন্টু রোডে আমার ছেলের সঙ্গে দেখা হয়। পুলিশ আমার ছেলেডারে অনেক মারছে। ও বাঁচতে চায়। রাশেদ কোনো অন্যায় করে নাই। মানুষের বাসায় কাজ কইরা অনেক কষ্টে বাবুডারে বড় করছি। আমার ছেলের মতো ভালো ছেলে পাইবেন না। প্রধানমন্ত্রী আপনি আমার বাবুডারে মুক্তি দেন। ও (রাশেদ) তো একটা চাকরি পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে। ও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না।
‘মা আমাকে যেন আর না মারে, আমাকে আর রিমান্ডে যেন না নেয়, তুমি সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রার্থনা করে আমার মুক্তি চাও।’ রাশেদ তার মাকে এমন কথা বলেছেন উল্লেখ করে সালেহা বেগম বলেন, আমার বাবুডারে আমি একটু ধরতে চাইলে পুলিশ দেয়নি বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ কইরা তিন সন্তানকে বড় করছি। আমার একটি কিডনি নষ্ট হইয়া গেছে। পরের বাসায় আর কাজ করতে পারি না। স্বপ্ন দেখছি, ছেলেটা অনেক বড় চাকরি কইরা আমাদের পরিবার চালাইবে, অথচ আমার বাবুডারে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করতাছে। আমার ছেলেরে মুক্তি দেন, সে আর আন্দোলন করবে না, শুধু পড়ালেখা করবে।’ এমন প্রতিজ্ঞা করে তিনি প্রধামন্ত্রীর কাছে ছেলের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
#এই মায়ের আকুতি মানবতার জননির কানে যায় না। এরই নাম মানবতা। এ জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধিন করা হয়েছিল। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষা করে, ফেরিওয়ালা আর নকল ও রাজাকার রা আজ দেশের মন্ত্রী ও উচ্চ পদে আসিন। এই কি ছিল আপনার স্বপ্ন?
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |