মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান, প্রতিনিধি আওয়ার কন্ঠ | ০৫ অক্টোবর ২০২০ | ৪:০৮ অপরাহ্ণ
বৃটিশ আইনে নয়, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে —মানববন্ধনে বক্তারা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশ। আজ ৫ অক্টোবর সোমবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী আবুল হাসিম শাহী ও কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ আল-হুমাইদীর যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব জননেতা মাওলানা ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আনছারুল হক ইমরান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজ নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের ক্রন্দনে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠেছে। খুন, রাহাজানি ও নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বাংলাদেশ দেখার জন্য ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়নি। বিশেষ করে নোয়াখালীতে গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা আইয়্যামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এই পৈশাচিক ঘটনা প্রমাণ করে দেশে কোন আইনের শাসন নেই। অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহের সুষ্ঠ বিচার হলে আজ দেশবাসীকে এমন জঘণ্য ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হতো না।
তারা বলেন, প্রচলিত বৃটিশ আইন দিয়ে কোনো দিন ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার সম্ভব নয়। এদেশে ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
বক্তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ধর্ষণকান্ডে জড়িতদের অধিকাংশই সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। কাজেই নোয়াখালী ও সিলেটের ঘটনায় লোক দেখানো কোন বিচার হলে এদেশের ছাত্রজনতা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে রাজপথ অচল করে দেয়া হবে, তবুও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা করা পর্যন্ত ছাত্ররা ঘরে ফিরে যাবে না।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মির্জা মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ঢাকুবী, বায়তুল মাল সম্পাদক মুহাম্মদ আল-আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি রাতুল আল হাসান, ছাত্রনেতা ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, মোঃ হাসেম আনোয়ার, আব্দুর রহিম, হোসাইন আহমদ, শামিম আহমদ, মাওলানা মোঃ ইসমাইল, মোঃ শাহ আলমসহ ছাত্র খেলাফতের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।