| ১৯ মার্চ ২০১৯ | ১১:০৫ অপরাহ্ণ
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে খ্রিস্টান সন্ত্রাসবাদী কর্তৃক নামাজরত মুসুল্লিদের উপর বর্বরোচিত হামলার পর প্রথমবারের মতো অধিবেশনে বসেছে নিউজিল্যান্ড পার্লামেন্টে। দেশটির নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে এবারের অধিবেশন শুরু হয় মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে । খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
পার্লামেন্ট ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন পার্লামেন্টে তার ভাষণে ক্রাইস্টচার্চে খ্রিস্টান সন্ত্রাসবাদী হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও একাত্মতা প্রকাশ করেন। একই সাথে ওই ঘটনার হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে বাধা দিতে গিয়ে নিহত হওয়া নাঈম রশিদের আত্মত্যাগের বিষয়টিও স্মরণ করেন।
নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী আরো তিনি কখনো অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ২৮ বছর বয়সী ওই সন্ত্রাসীর নাম মুখে উচ্চারণ করবেন না। তিনি বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এ হামলাকারী অনেক কিছু অর্জন করতে চেয়েছে তার মধ্যে একটি হলো কুখ্যাতি। সে কারণে আপনারা কখনো তার নাম আমার মুখে শুনবেন না। সে একজন সন্ত্রাসী। সে একজন ক্রিমিনাল, সে একজন চরমপন্থি। যখন আমি বক্তৃতা দেব তখন তার নাম নেব না।”
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে বক্তৃতা শুরু করেন। এর মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের জন্য শান্তির বার্তা পাঠান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা তার দেশের জনগণকেও ওই সন্ত্রাসীর নাম মুখে না নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসের মাধ্যমে সে কুখ্যাতি অর্জন করতে চেয়েছে। সে জন্য তার নাম না নিয়ে বরং যারা নিহত হয়েছেন তাদের নাম উচ্চারণ করুন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ব্রেন্টন টেরেন্ট নামে যে সন্ত্রাসী ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যা করেছে তার কাছে মোট পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্রের কোনো কোনোটি সে অনলাইনে কিনেছিল। নিহতদের বেশিরভাগ নাগরিক পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, তুরস্ক, কুয়েত ও সোমালিয়ার। এ ঘটনার পর দেশের অস্ত্র আইনও বদলানোর পদক্ষেপ নিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার।