| ২০ অক্টোবর ২০২০ | ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ:
তৃনমূল রাজনীতির পথবেয়ে জাতীয় রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, নবীনগরের শিক্ষাবান্ধব ও কর্মীবান্ধব নেতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ শিক্ষার মানোন্নয়নে সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেছেন “লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজ”।ইতোমধ্যেই কলেজটি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
“ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ শিক্ষা ফাউন্ডেশন” কর্তৃক বিগত প্রায় ১০ বছর যাবৎ নবীনগরের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসার হাজার-হাজার শিক্ষার্থিদের পিএসসি,জেএসসি ও জেডিসি বৃত্তি দিয়ে আসছেন।যা এলাকায় মেধা বিকাশের এক অনন্য মাইল ফলক। এ ছাড়াও এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গরিব ও মেধাবিদের আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন নিয়মিত।
ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তাঁর প্রয়াত বাবা-মা’র নামে প্রতিষ্ঠা করেন “হাজী মফিজ-অজুফা হাফেজিয়া মাদ্রাসা”।যা ইতেমধ্যেই বেশ সফলতা অর্জন করেছেন।
তিনি একই সাথে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ফতেহ্পুর কেজি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও লাউর ফতেহ্পুর আরএনটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটানা ৭ম মেয়াদে দক্ষতার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সকল শিক্ষামূলক কর্মযজ্ঞের কারনেই তাঁকে শিক্ষাবান্ধব নেতা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালীন সময়ে তিনি একক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করেন “অগ্রনী ব্যাংক লিঃ শিবপুর শাখা, রূপালী ব্যাংক লিঃ ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজ শাখা” ও রূপালী ব্যাংক লি: কোম্পানিগঞ্জ (মুরাদনগর) শাখা” নামের ৩ টি সরকারি ব্যাংক। যেখান থেকে প্রতিদিনই লোকজন সহজে গ্রাহক সেবা নিচ্ছেন।
তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সলিমগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয় “অলিওর রহমান জেনারেল হাসপাতাল” এবং নবীনগরের আহমেদ ক্লিনিক। যেখানে প্রতিদিনই এলাকার রোগীরা স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
প্রতি বছরই তিনি একক নেতৃত্বে আয়োজন করে থাকেন “লাখ টাকার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট”। যেখানে লক্ষাধিক দর্শক খেলা উপভোগ করেন সানন্দে।যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড.বীরেন শিকদার, ধারা ভাষ্যকার চৌধূরী জাফর উল্লাহ শারাফাত ও কায়সার হামিদ সহ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের খেলাতে নিয়ে এসে বিরাট চমক সৃ্ষ্টি করেন এবং এই খেলাটির কারণে সারাদেশব্যাপী এলাকার অনেক সুনাম বৃদ্ধি পায়।
তিনি নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় প্রতিবছরই দরিদ্রদের মাঝে বিতরন করেন ঈদবস্র ও শীতবস্র।এবারের করোনা সংক্রমণকালেও তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন।এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগেও দান খয়রাত করেন নিয়মিত।
উপজেলার অনেক স্কুল,মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মাজার, মন্দির সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তাঁর আর্থিক সহযোগিতা।
নবীনগরের মধ্যে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে যোগদান করেন।যা নবীনগরের রাজনীতিতে এক বিরল গৌরবের ইতিহাস।
নবীনগরের মধ্যে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি টকশো করে নবীনগরকে দেশব্যাপী গৌরবান্বিত করেছেন এবং টকশো ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।অনলবর্ষি বক্তা হিসেবে তাঁর রয়েছে অনেক খ্যাতি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী, রাজপথের সাহসী নেতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ একজন নিরহংকারী ও সদালাপী ব্যক্তি।যিনি সকল শ্রেনী-পেশার মানুষকেই অতি অল্প সময়ে আপন করে নিতে পারেন।
নবীনগর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জনপ্রিয় জিএস ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ লন্ডন পড়াশোনাকালীন সময়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ উপ-কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে বেশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বহু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করে চলেছেন সফল,জনপ্রিয় ও মেধাবি সাবেক এ ছাত্রনেতা।
১/১১-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকালে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদকে সুধাসদনে ডেকে নিয়ে মনোনয়ন বিষয়ে কথা বলেন।যা তখন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রচারিত হয়।পরবর্তিতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজনের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ২ টি ব্যাংকের (অগ্রণী ও রূপালী) পরিচালক হিসেবে দুই মেয়াদে নিয়োগ দেন সরকার। তিনি সম্পূর্ণ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে বেশ সুনাম অর্জন করেন।
লন্ডনের আয়েশী জীবন ও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহনের সুযোগ পরিহার করে দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।
আমাদের মাননীয় সাংসদ জনাব এবাদুল করিম বুলবুল ভাইয়ের ন্যায় ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদও একজন ধর্মাণুরাগী নেতা।যিনি কখনও নামাজ কাযা করেননা।
বিগত দিনে তিনি পবিত্র হজ্জ্ব-ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে প্রায় ১৮ বার সৌদিআরব গমন করেন।
এছাড়াও এশিয়া,ইউরোপ ও আমেরিকার প্রায় ৩৫ টি দেশ তিনি ভ্রমন করেন। যখন যে দেশে গিয়েছেন সেদেশের প্রবাসীরাই তাঁকে কাছে পেয়ে উজ্জীবিত হয়েছেন দারুন ভাবে। প্রবাসীদের যে কোনও সমস্যা সমাধানে সহজেই তিনি এগিয়ে আসেন। তাই প্রবাসীদের কাছে তাঁর রয়েছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং প্রবাসীরা তাঁকে প্রবাসীবান্ধব নেতা বলেই জানে।
নবীনগরের এমন কোনও গ্রাম নেই যেখানে তিনি বিগত দিনে অন্তত ৫/১০ বার যাননি। দেশে ও বিদেশে তাঁর রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী।
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ শুধু একটি নাম নয়,একটি রাজনৈতিক মাইলস্টোন।যার হাত ধরে হাজারো তরুন সমবেত আজ আওয়ামীলীগের পতাকাতলে।
সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত এবং শিক্ষায়- সমৃদ্ধ,আলোকিত নবীনগর গঠনে ব্যারিস্টার জাকির অাহাম্মদের সাথেই থাকুন।
তথ্য সংগ্রহে:
(সাংবাদিক বাবুল ভূইয়া, কাউছার আলম ও জুয়েল হোসেন)।