মো.আক্তারুজ্জামান, নবীনগর থেকে | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ
মানুষের জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজন শান্তিময় সুস্থ্য পরিবেশ। বেঁচে থাকার জন্য, যে পরিবেশের প্রয়োজন, সে পরিবেশ আজ অবহেলার নানা কারণে জটিল আঁকার ধারণ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারের লঞ্চঘাট এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা আবর্জনার স্তুপ থেকে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে সলিমগঞ্জ বাজারের লঞ্চঘাটের
প্রবেশমুখে এই আবর্জনার কারণে এলাকাবাসির যেন দুর্ভোগের শেষ নেই।
আবর্জনার বিষাক্ত বর্জ গিয়ে মিশছে মেঘনা নদীতে,গত ৫ বছর ধরে এভাবে প্রকাশ্যে আবর্জনা ফালানো হচ্ছে। বাজার কমিটির গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতাকে দোষারূপ করছে এলাকাবাসী।
পরিবেশ ভয়াবহ দূষণ কবলিত সলিমগঞ্জ বাজারের প্রায় ৫-১০ হাজার মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে জীবন জাপন করছে। দুর্গন্ধে ভারী বাতাসের কারনে শ্বাসকষ্ঠ, জন্ডিস, ডায়ারিয়া, চর্মরোগসহ নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ধুঁকছেন এলাকার মানুষ। মশা-মাছির উপদ্রব আর অসহনীয় দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা যেমন কষ্টকর তেমনি এই রাস্তায় সলিমগঞ্জের আশে পাশের ১০থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষসহ নরসিংদী ও নবীনগর গামী মানুষের যাতায়াতও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এতে সীমাহীন জনদুর্ভোগের পরও সচেতন নাগরিকরা রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন। বৃষ্টির সময় আবর্জনার পঁচা পানি পথচারীদের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেয়। এতে দুগন্ধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ফলে এই পথে চলাচলই কঠিন হয়ে পড়ছে। বাজারের মাছ, মুরগির পঁচা নাড়িভুড়ি, নষ্ট সবজি, বাসাবাড়ির সবধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এখানে।
সরেজমিন দেখা গেছে অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে ময়লা ফেলার স্থান। জায়গাটির দুই পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে মাংশ দোকান, কসাইরা রাস্তার পাশে ১০থেকে ১২টি গরু -ছাগল প্রতিদিন জবাই করে রাস্তার পাশে ফেলছে রক্ত নাড়িভুঁড়ি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিদিন বাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে আনা বর্জ্য এ স্থানটিতে ফেলছে
এতে যাত্রী সাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পথ চলা দায়। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সলিমগঞ্জ বাজারের লঞ্চঘাটের পাশে মেঘনার পাড়ে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করলেও বাজার কমিটির কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
এব্যাপারে সলিমগঞ্জ বাজারের তেল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাজারের ময়লা-আবর্জনার এই দুর্গন্ধে দোকানে বইসা ব্যবসা করতে পারতেছি না। এতো বাজে দুর্গন্ধের কারণে দোকানে বসে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। আমার মতো সকল ব্যবসায়ীদের একই সমস্যা দুর্গন্ধ। বাজার কমিটির অচিরেই যদি স্থানান্তর না করায় দুর্গন্ধে বিভিন্ন রোগ-জীবাণু বাড়বে।”
এব্যাপারে সলিমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো.মজনু মিয়া বলেন, “ময়লার খারাপ গন্ধে আমরা দোকানে বসে থাকতে পারি না।এই ময়লা সড়ানো খুবই দরকার। এখানের ময়লা পানি পাশের নদীতে যাওয়ায়, যারা নদীর ঘাটলায় গোসল করে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু হইতাছে।”