নবীনগর প্রতিনিধি: | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ | ৯:১০ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনার পরও জমা দেননি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের (নবীনগর) বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।
তিনি সংসদ সদস্যের পাশাপাশি তিনি নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি।
স্থানীয় নেতাদের বাদল জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন না। এই খবরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ফয়জুর রহমান বাদল ভাইয়ের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু, উনার শারীরিক অবস্থা ভালো না। নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এজন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া হয়নি।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসন থেকে ২৫ জন নৌকার প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তবে তাদের কেউই শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতার সুযোগ পাবেন না।
কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা উল্লেখ করছেন, জোটবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করলে এখানে শরিক দলকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও তাদের শরিক ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টিকে নিয়ে গঠিত মহাজোট মিলে ভোট করার কথা জানিয়েছে।
হাই-কমান্ড ইঙ্গিত দেয়ার পরই মূলত জোটকে ছাড় দিতে এমপি বাদল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন শরিক জাতীয় পার্টি অথবা জাসদের জন্য ছেড়ে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
এখানে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও এরশাদের উপদেষ্টা কাজী মামুনূর-রশিদ রয়েছেন। এরশাদতো তাকে দলের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এসেছেন।
আর ক্ষমতাসীন জোটের শরিক জাসদেরও শক্ত প্রার্থী রয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর দল থেকে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন মনোনয়ন পেতে পারেন বলেও জানা গেছে। তবে এরশাদের প্রার্থী মামুনুর রশীদকে এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এবিষয়ে ফয়জুর রহমান বাদলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।