ডা.ইব্রাহিম খলিল ভাইয়ের ফেসবুক থেকে নেয়া। | ২২ অক্টোবর ২০১৮ | ৭:৫২ অপরাহ্ণ
একজন শায়খুল হাদিসের অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না,
একজন আলেমের গায়ে হাত বরদাশত করা যায়না।
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ধর্মীয় ক্বওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সর্ববৃহৎ মাদ্রাসা “আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হেদায়া” পোরশা উপজেলা নওগাঁ’র সম্মানিত শায়খুল হাদীস, এলাকার লক্ষ জনতার নয়ণের মণি, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন, পোরশার কৃতি সন্তান, হজরত মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহ্ চৌধুরীর উপর আক্রমণ এবং তাঁর সন্তান মাওলানা হোসাইন আহমাদকে বেদম প্রহার করে রক্তাক্ত করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
ঘটনা- গত ১৯ তারিখে নিতপুর আর পোরশা থানার ফুটবল খেলা হয় নোনাহারে। খেলার নিয়ম অনুযায়ী পোরশা হেরে যায়। নিতপুরওয়ালারা বিজয় মিছিল নিয়ে পোরশা যায়। এতে অজানা একজন একটি ঢিল ছুঁড়ে মারে মিছিলের উপর। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে পরিবেশ কিছুটা অশান্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মুরুব্বীরা সমাধানের জন্য বৈঠক করে। বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় নিতপুরবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে থাকে। বিষয়টিতে পরবর্তীতে কিছুটা রাজনীতি ঢুকে পড়ে।
গতকাল শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহ্ চৌধুরী ও তাঁর সন্তান মাওলানা হোসাইন আহমাদ নিতপুর রেজেস্ট্রি অফিসে যান নিজেদের কাজে। আর সেখানে উৎপেতে থাকা আলেম বিদ্বেষী কিছু মানুষরুপী জানোয়ার উনাদের উপর আক্রমণ করে। হুজুরকে মারে এবং তাঁর সন্তানকে বেদম প্রহার করে রক্তাক্ত করে। অথচ এই খেলার সাথে হুজুরের কোন সম্পর্ক নাই, উনি কিছু জানেনওনা।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার আশেপাশে যত মাদ্রাসা আছে সকলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে থানা একটি মীমাংসার কথা বলে পরিবেশ শান্ত করে। থানার মীমাংসার বৈঠকে বিষয়টির সমাধান না হওয়ায়, আজ সকল মাদ্রাসার ছাত্ররা রাস্তায় নেমে পড়ে এবং প্রতিবাদ আর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
এলাকার এমপির সাধন মজুমদারের কানে এ খবর গেলে তিনি থানাকে নির্দেশ দেন দ্রুত গ্রেফতারের, এবং নওগাঁ জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠান।
আক্রমণকারীরা একটি দলের সমর্থক হলেও এমপি দ্রুত ধরার কথা বলেন। কিন্তু আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কঠিন বিচার দাবী করছি।
যে সব কুলাঙ্গাররা শায়খুল হাদীসের উপর হাত তুলেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। এটা মেনে নিতেই পারছিনা। পোরশা মাদ্রাসার ছাত্ররাই যথেষ্ট এর কড়া প্রতিবাদ করার জন্য, রাস্তাঘাট অচল করে দেওয়ার জন্য। প্রশাসন যদি দ্রুত বিচারের ব্যাবস্থা না করেন তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এর দায় দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।
আমরা ঐসব কুলাঙ্গারদের কঠিন বিচার ও শাস্তি দাবী করছি। সে যেই দলেরই হোকনা কেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |