রিপোর্ট : আশরাফুল মামুন, মালোশিয়া থেকে | ০৩ মে ২০১৯ | ৪:২২ অপরাহ্ণ
ভাগ্য পরিবর্তনে পরিবারের সুখের আশায় য় আলমগীর হোসেন (৪৯) , কিন্তু কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে ভাগ্যের কাছে হেরে গিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি মুুমুর্ষ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। যাকে পাচ্ছেন তার কাছেই সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন।
আলমগীর হোসেন আলম বর্তমানে হসপিটাল কুয়ালালামপুরের অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসারত আছেন। সে পোর্ট ক্লাং এলাকায় একটি কনস্ট্রাকশন সাইডে কাজ করা অবস্থায় ডান পায়ের আঙ্গুলে প্রথমে ইনফেকশন হয় তার ডায়াবেটিস থাকার কারনে পরবর্তীতে তিন টি আঙ্গুল সহ উপরের অংশ পচন ধরে। অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, জরুরী ভিত্তিতে তার পচন ধরা অংশ কেটে বাদ দিতে হবে নইলে পুরো পা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ইনফেকশন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাকে গতকাল অপারেশন করে পায়ের ৩ টি আঙ্গুল বাদ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এরপরে ইনফেকশন ভাল না হলে আবার পুরো পা কাটতে হবে অথবা দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তার চিকিৎসা ও দেশে ফেরতের জন্যে কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন কিন্তু তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব না। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসায় সঞ্চিত অর্থ খরচ হয়ে গেছে।
এদিকে আলমগীর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, সে ২০১৫ সালে ট্যুরিষ্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসে বর্তমানে অবৈধ হয়ে পড়েছেন। বৈধ হওয়ার জন্যে রি হায়ারিং প্রোগ্রামের মাই-ইজি তে রেজিষ্ট্রেশন করে ৭ হাজার রিংগিত জমা দিয়েছিলেন পরে বাংলাদেশী দালাল ভিসা না দিয়ে প্রতারনা করে।
তার পায়ের সংকটাবস্থার কারনে পারমিট না থাকার কারনে মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা না করিয়ে এখনই দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না। তাই সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবান প্রবাসীদের কাছে আলমগীর হোসেন আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন।
সাহায্য পাঠানোর জন্যে যোগাযোগঃ-
সাংবাদিক আশরাফুল মামুন, কুয়ালালামপুর,মালয়েশিয়া।
মোবাইলঃ- 00601128204367
শিরিন আক্তার, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, একাউন্ট নং – 7017513571965
এজেন্ট একাউন্ট।