| ২২ আগস্ট ২০১৮ | ৩:৫৯ পূর্বাহ্ণ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা. বা. ও মহসচিব, দারুল উলুম হাটহাজারীর মুঈনে মুহতামিম, প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী এক যুক্ত বিবৃতিতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেছেন, বিশ্ব-মুসলিম যে পরম ত্যাগের নিদর্শন স্বরূপ আল্লাহর নির্দেশ মুতাবেক, তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু জবেহের মাধ্যমে কুরবানীর যে আনন্দন-উৎসব পালন করে থাকে, তা মুসলিম জাতিরপিতা হযরত ইবরাহীম আ. এর সুন্নাত। আমীর, মহাসচিব বলেন প্রিয় পুত্র ইসমাঈল আ. কে আল্লাহ হুকুমে কুরবানি দেয়ার উদ্দেশ্য সাধন করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা উম্মতে মোহাম্মদী সা. এর জন্য পালনীয় বিধানে পরিণত।
কুরবানী হলো, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও প্রিয়বস্তু আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা। যা ইবরাহীম আ. করে দেখিয়েছেন। কেবল, গোশত খাওয়ার নাম কুরবানী নয়। আল্লাহর রাহে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়া, তাকওয়া হাসিলের লক্ষে পশুর গলায় নয় বরং সকল প্রবৃত্তির গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রেমে পাগলপরা হওয়া হলো কুরবানীর তাৎপর্য।
কুরবানির শিক্ষা হলো মানুষের মাঝে যে পশুত্ব বিরাজমান তা নির্মূল করা। অহমিকা, হিংসা, বিদ্বেষ, ক্ষমতার দম্ভ পরিহার করা, গুম-খুন, জুলুম নির্যাতন বন্ধ করা, রাষ্ট্র ও জনগণের হক যথাযতভাবে আদায় করা।
আল্লাহর দ্বীন ও রাসু সা. এর সুন্নাত প্রতিষ্ঠায় যে কোন ত্যাগ স্বীকার করা।
হেফাজত নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে দেশে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক, ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
এই পবিত্র ঈদে সকলের জীবন সুন্দর, সাফল্যমণ্ডিত ও নিষ্কলুষ হয়ে উঠুক এবং প্রবৃত্তির কুমন্ত্রণা, হানাহানিমুক্ত সমাজ গড়ার তৌফিক দান করুক, রাব্বুল আলামিনের কাছে এই ফরিয়াদ করছি।
আমরা আত্মীয় স্বজন, ইয়াতিম, গরিব, দুঃখী, মেহনতি মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো এবং তাক্বওয়া ও মানবতার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহর রিজামন্দী হাসিলে সচেষ্ট হবো। সকলে নিজেদের চরিত্র, আমল-আখলাক পরিশুদ্ধ করত: নাস্তিকতা ও ইসলামবিদ্বেষীমুক্ত শান্তিময় একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। দেশবাসীর কাছে এই প্রত্যাশা করছি।