লেখক : মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান, প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা । | ১৪ মে ২০২০ | ১০:০৯ অপরাহ্ণ
এবাদত সমূহের মধ্যে দুরুদ শরিফ পাঠ করা অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। রাসুল (সা:)এর উপর দুরুদ পাঠের ফযিলতের শেষ নেই।
রাসুল(সা:)এর উপর দুরুদ পাঠের গুরুত্ব ও মর্যাদা এতো বেশি যে, আল্লাহতায়ালা নিজে ই পবিত্র আল কোরআনে ঘোষণা করে বলেছেন যে, অবশ্য আল্লাহতায়ালা নবীর উপর রহমত প্রেরণ করেন ও তার ফেরেশতাগণ ও নবীর উপর দুরুদ পড়েন। হে ঈমানদারগণ! তোমরা তার উপর দুরুদ পড় এবং তার প্রতি সালাম পাঠাও(সুরায়ে আহযাব,আয়াত ৫৬)।
হাদিস শরিফে দুরুদ শরীফ পাঠের অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:)হতে বর্ণীত, তিনি রাসুল (সা:)কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়ে, এর বিনিময়ে আল্লাহপাক তার উপর দশবার রহমত নাজিল করেন,(মুসলিম শরিফ)।
এক হাদিসে উল্লেখ আছে যে, মানুষের কে কখন কোথায় দুরুদ পড়ছে কেবলমাত্র তার সন্ধানে আল্লাহপাকের একদল ফেরেশতা পৃথিবীতে ভ্রমণরত রয়েছে। তারা ঐ দুরুদ হুজুরে পাক (সা:)এর নিকট পৌঁছে দেন এবং হুজুর (সা:)তখন ই সেই দুরুদ সালাম প্রেরকের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং তার সালামের জবাব দেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা:)হতে অন্য এক হাদিসে বর্ণীত, রাসুল(সা:)বলেছেন,কিয়ামতে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে আমার নিকটবর্তী হবে যে সবচেয়ে বেশি আমার উপর দুরুদ পড়ে,(তিরমিযি শরিফ)।
দুরুদ শরিফ পাঠ করা যে কত ফজিলতের তা কোরআন শরিফে আল্লাহতায়ালার ঘোষণা এবং রাসু(সা:)এর হাদিস গুলোর দ্বারা ই উপলব্ধি করা যায়। এই দুরুদ পড়া যদি আবার হয় রমজান মাসে তা হলেতো ফযিলতের আর শেষ নেই।
সুতরাং পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও নবী করীম (সা:)এর নৈকট্য লাভের জন্য আমরা যেন অধিক মাত্রায় দুরুদ শরিফ পাঠ করি।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে রাসুল(সা:)এর উপর বেশি বেশি দুরুদ শরিফ পাঠ করার তাওফিক দান করুণ, আমিন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |