আওয়ার কণ্ঠ ২৪. কম ডেস্ক রিপোর্ট | ২৯ এপ্রিল ২০১৯ | ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ
দাড়ি সব নবীর সুন্নত। পুরুষ ও পৌরুষের প্রতীক। দাড়ির সঙ্গে ধর্মের সখ্য আছে। এর বৈজ্ঞানিক উপকারিতাও স্বীকৃত। এসব বিবেচনা করে উন্নত বিশ্বে দাড়ি রাখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন মানুষ আবার দাড়ি রেখেই অফিস-আদালতে যাওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।
বিশেষ করে আমেরিকান পুরুষদের মধ্যে দাড়ি রাখার বিষয়টি বেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিন কাজে যোগ দেওয়ার আগে দিনে অন্তত একবার দাড়ি কামানো লোকগুলোই এখন দাড়ি রাখাকে ফ্যাশন মনে করছে। জিলেটের মূল প্রতিষ্ঠান প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের (পিজি) দক্ষিণ আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসিমিলিয়ানো মিনোজ্জি বলেন, মানুষের কাছে এখন দাড়ি না কামানোটা এক ধরনের অভ্যাসে রূপ নিচ্ছে।
ভয়েস অব আমেরিকার তথ্য মতে, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের পুরুষদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে দাড়ি। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিনটেলের আবাসন ও ব্যক্তিগত যত্ন বিশ্লেষক অলিভা গুইনাফ বলেন, মানুষ নিজেদের শান্ত চেহারার আকৃতি দিতে চায় এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। শুধু তা-ই নয়, অনেক মানুষই বিশ্বাস করে, মুখে দাড়ি রাখা খুবই জনপ্রিয়, প্রাকৃতিক ও আকর্ষণীয় একটি বিষয়।
ইউগভের গবেষণা অনুযায়ী, ব্রিটেনের পুরুষদের মধ্যেও বাড়ছে দাড়ি রাখার প্রবণতা। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটেনের পুরুষদের মধ্যে দাড়ি রাখার প্রবণতা ছিল ৩৭ শতাংশ, যা ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশে।
শুধু তা-ই নয়, ব্রিটেনের নারীরাও এখন পুরুষদের মুখে দাড়ি দেখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ২০১১ সালের জরিপে ব্রিটেনে দাড়ি অপছন্দ করা নারীর সংখ্যা ছিল ৬৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১৬ সালে তা নেমে আসে ৪৬ শতাংশে। (ইউগভ ডট সিও ডট ইউকে)
ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পেনের ৩১ বছর বয়সী মাস্টার বার্লার সালভাদর চানজা বলেন, দাড়ি পুরুষকে নতুন জীবন দেয়। আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সম্মানী করে। (ডেইলি মেইল)
দাড়ির রাখার প্রবণতা বেড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দেরও। আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ছবি পোস্ট করে মজা করে লেখেন, প্রায় সব ক্রিকেটারের মুখে দাড়ি কেন? (ইন্ডিয়া টুডে)
সম্প্রতি বিবিসি বাংলার খবরে দাড়িতে কুকুরের চেয়ে বেশি জীবাণু পাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে; যদিও ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত বিবিসির খবর ছিল এর ব্যতিক্রম। সে সময় বিবিসির এক অনুষ্ঠান—‘ট্রাস্ট মি, আই অ্যাম আ ডক্টর’ সম্প্রতি এই প্রশ্নে একটা ছোট্ট পরীক্ষা চালিয়েছে। এর ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্লিন শেভড পুরুষের চেয়ে দাড়িওয়ালাদের মুখে রোগ-জীবাণু বেশি—এমন কোনো প্রমাণ তাঁরা পাননি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতাল সম্প্রতি এ নিয়ে গবেষণা চালায়। ‘জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনে’ প্রকাশিত এই গবেষণার ফলে বলা হচ্ছে, দাড়িওয়ালাদের চেয়ে বরং দাড়ি কামানো পুরুষের মুখেই বেশি রোগ-জীবাণু পাওয়া গেছে। গবেষকরা বলছেন, মেথিসিলিন-রেসিস্ট্যান্ট স্টাফ অরিয়াস (এমআরএসএ) বলে যে জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী, সেটি দাড়িওয়ালাদের চেয়ে দাড়ি কামানোদের মুুখে তিন গুণ বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে। এর কারণ কী? গবেষকরা বলছেন, দাড়ি কামাতে গিয়ে মুখের চামড়ায় যে হালকা ঘষা লাগে, তা নাকি ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। অন্যদিকে দাড়ি সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। বিবিসির ‘ট্রাস্ট মি, আই অ্যাম আ ডক্টর’ অনুষ্ঠানে বেশ কিছু পুরুষের দাড়ি থেকে ব্যাকটেরিয়ার নমুনা সংগ্রহ করে একই ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |