মুফতি ছালেহ বিন আব্দুল কুদ্দুস, অতিথি লেখক | ১৪ এপ্রিল ২০২০ | ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ
পুরো জীবন বাদরামী করে শেষ বয়সে এসে জীবনের অঙ্ক কষায় তালগোল পাকাচ্ছে বুড়ি শয়তান নাস্তিক তাসলিমা নাসরিন। তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে অসহায়ত্ব, মৃত্যু ও হতাশা ইত্যাদি নিয়ে লিখলেও মাঝেমধ্যে ওর বস্তাপচা ‘বিজ্ঞান!’-এর দূর্গন্ধ ছড়াতেও ভুল করে না!
এক পোস্টে সে লিখেছে, ‘‘আমাকে করোনাভাইরাস ধরলে আমি নির্ঘাত মরবো। কারণ আমার বয়স বেশি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যখন আমার উপসর্গ শুরু হবে, কেউ আমাকে দেখতে আসবে না। সম্পূর্ণ একা তখন আমি। কী করবো তখন? প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতগুলো শুনতে থাকবো। একসময় মরে যাবো। আমার মৃতদেহ দূরে কোথাও নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। আমি যে দিল্লির এইমস আর নিউইয়র্কের ল্যাংগনে মৃতদেহ দান করেছি, কোনও লাভ হবে না, ভাইরাসে মৃত্যু হলে ওরা দেহ নেয় না। পৃথিবীটা হঠাৎ করে কীরকম ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এই পৃথিবীকে আমি চিনি না।।’’
হ্যাঁ! অবাক হওয়ার কিছুই নেই। নাস্তিকদের মস্তিষ্ক এভবেই বিকৃত হয়ে থাকে। সে বলছে, কেউ তাকে দেখতে আসবে না, কোন মেডিকেল ওর মৃতদেহও নেবে না, ভয়াবহ এই পৃথিবীকে সে চিনে না; কিন্তু এতদসত্বেও তার কোন অনুভূতি জাগ্রত হয়না! রবীন্দ্রসংগীত শুনতে শুনতে একসময় মরে যাবে! কারণ, জীবনভর বিবর্তনবাদ ও পতিতাবৃত্তি করে করে গন্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলেছে।
সে আরো লিখে, ‘‘সোজা কথা মৃত্যু আসছে। আমরা যারা রিস্ক গ্রুপের তাদের কাছে খুব দ্রুত আসছে। মৃত্যু নিয়ে হাহাকার না করে বরং যে কটা দিন পাচ্ছি, তাকে কাজে লাগানো বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতিটি দিনকে যেন ভেবে নিই এ আমার শেষ দিন।’’
কী চমৎকার উপদেশ, তাই না! মনে হচ্ছে তারচে ভালো মানুষ আর হতেই পরেনা! কিন্তু দেখুন জীবনের শেষ দিনগুলোকে সে কীভাবে কাজে লাগাচ্ছে! কথায় আছে, ‘ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে!’ সাম্প্রতিক সময়েই সে আরো লিখেছে, “ধর্ম মানুষকে স্বার্থপর, নিষ্ঠুর, হিংসুক বানায়, খুব বোকাও বানায়।” প্রবাদ আছে, ‘বোকা সবাইকে বোকা ভাবে।’ সে নিজেই স্বীকার করেছে, মরলে এইমস আর ল্যাংগনের বন্ধুসমাজ তার মরদেহকে ময়লার ভাগারে নিক্ষেপ করবে; এটা কি স্বার্থপরতা ও নিষ্ঠুরতা নয়? আর মুসলিমরা ভাইরাসের মৃতকেও সম্মান করে তাঁর কাফন-দাফন ও জানাযা সম্পন্ন করেন; এটা ওর দৃষ্টিতে স্বার্থপরতা ও নিষ্ঠুরতা ?!
তাসলিমা নাসরিন হতাশায় ঘুরপাক খেয়ে এখন মৃত অনুভূতিকে লেজেগোবরে মাখিয়ে ফেলছে। সে বলছে, ‘‘মাঝে মাঝে মনে হয় আমি হয়তো ঘুমিয়ে আছি, পৃথিবীতে যা ঘটছে, তা ঘটছে আমার স্বপ্নের মধ্যে। ঘুম ভাংলেই দেখবো সবকিছু আগের মতোই আছে।’’
নিজকে বিজ্ঞানমনষ্ক দাবী করা ‘অজ্ঞান’ তাসলিমার মাথামুণ্ডুহীন কর্মকাণ্ড দেখে বিশ্বকবি আল্লামা ইকবালের একটি কবিতা মনে পড়ছে।
তিনি বলেন,
‘‘নক্ষত্রের কক্ষপথের অন্বেষণকারীরা
নিজেদের চিন্তার জগতে ভ্রমণ করতে পারেনি/
যারা সূর্যকিরণকে বন্দী করল, তারা
জীবনের অন্ধকার নিশিকে আলোকিত করতে পারেনি।।’’
লেখক: মুফতি ছালেহ বিন আব্দুল কুদ্দুস
প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক: শাহবাজপুর, বি-বাড়িয়া, বাংলাদেশ।
১৩/৪/২০২০ইং, সোমবার।।