| ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ | ৫:৪৫ অপরাহ্ণ
বিশ্বব্যাপী ইসলাম নিধনে চলছে তথ্য ও সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি সন্ত্রাস। তথ্য সন্ত্রাসের নামে চলছে ইসলাম, আলেম উলামা তথা ইসলাম পন্থীদের চরিত্রহনন করে সমাজে তাদেরকে অপমানিত করে ইসলামকে ভিন্নরুপে চিত্রিত করা। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে ই সময়ে সময়ে চলছে ইসলামী ব্যক্তিবর্গদের সম্পর্কে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র।
সম্প্রতি আমীরে হেফাযত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যকে বিকৃত করে খণ্ডিত অংশ প্রচারে কিছু চিহ্নিত ইসলাম বিদ্ধেষী সরব হয়ে মাঠে নেমেছে। তারা নারীদের স্বার্থের কথা বলে সর্বদা নিজেদের স্বার্থে নারীদের ব্যবহার করে নারী জাতীকে একের পর এক অপমান করে যাচ্ছে।
এইতো সেদিন, একজন নারীকে তার সন্তানদের সামনে গন ধর্ষন করা হলো অত্যন্ত পৈশাচিক ভাবে। সেদিন কিন্তু এই নারীবাদীদের এর বিরুদ্ধে টু শব্দটি করতে দেখা যায়নি।
অথচ আজ তারা আমীরে হেফাজতের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। হাতেগনা এই কয়েকজন দেশের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। তাদের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে দেশের ইসলাম পন্থীরা যেকোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
সম্প্রতি একটি নাটক নির্মিত করা হয়েছে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে। যাতে এর মূল চরিত্র অভিনেতাকে দাড়ি ও অভিনেত্রীকে হিজাব পরহিতায় অভিনয় করতে দেখা যায়।
সংস্কৃতির নামে এই অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে এরা ইসলামকে সমাজে কলঙ্কময় করে দিতে চায়। অথচ হলি আর্টিসানে যেসব জঙ্গিরা নিহত হয়েছে,কিংবা গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের একজনের মুখে ও দাড়ি ও হিজাব ছিলোনা।
তারপর ও কেন এই মিথ্যাচার? অভিনেতা অভিনেত্রীদের ইসলামী পরিচয়ে পরিচিত করে তারা মূলত ইসলামী নিদর্শন গুলোকে অপমান করেছে। সরকারে তথ্যমন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সম্প্রতি এই দুইটি বিষয়ে আমলে নিয়ে এর সাথে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
যেহেতু এই দুটির সাথে ই ধর্মীয় চেতনা জড়িত, তাই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগে ই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর হস্তে দমনে এগিয়ে আসা।
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
যুগ্ম সম্পাদক, ইসলামী ঐক্যজোট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
১৩.০১.২০১৯ইং