স্টাফ রিপোর্টারঃ | ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে ৩৪.২০ শতাংশ শেয়ার আছে গ্রামীণ টেলিকমের যার স্থপতি বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। এই গ্রামীণ টেলিকম এর শ্রমিকদের বেতন ভাতা সহ নেয্য অধিকারের আদায়ের জন্য শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ” র কাছে (ILO )লিখিত আবেদন করেছেন । অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব পল্লীফোন ছাড়াও নোকিয়া মোবাইলের সার্ভিস দিয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা কর্মীদের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা হয়েছে ৬ হাজার ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু এ নিট মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মীদের, প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ তহবিল ও সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও ৮০ঃ১০ঃ১০ অনুপাতে পরিশোধ করার বিধান থাকলেও তা পরিশোধ করা হয়নি। কোম্পানির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ,শ্রমিকদের কাজে লেবার ল অনুসরণ না করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
অতি সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় সফর কালে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালে প্রথম মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৪ কর্মী। পরে বকেয়া পাওনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ৯৩টি মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান কর্মীরা। ঢাকার শ্রম আদালতে সব মিলে ১০৭টি মামলা করা হয়।
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান অ্যাপোলো বলেন, ‘ড. ইউনূস স্যার একজন সম্মানিত লোক, তার মতো একজন মানুষের পক্ষে বেআইনি কাজ মেনে নেয়া যায় না। গ্রামীণ টেলিকম একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়াও হয়ে যায়নি। তাই এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে সব শ্রমিক ছাঁটাই সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা তার কাছে অনুরোধ করছি অনতিবিলম্বে এই অবৈধ টার্মিনেশন তুলে নেন নতুবা আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করবো।’
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান বলেন, এত গুলো কর্মীর পরিবার কঠিন বিপদের সম্মুখীন। সহযোগিতা না পেলে এতগুলো লোক একসাথে না খেয়ে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।
টেলিকম কর্মীদের এক আইনজীবী জাফরুল হাসান শরিফ বলেন, এখন পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে ১০৭টি মামলা আদালতে চলমান। গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামের প্রতিষ্ঠানে একটি ট্রেড ইউনিয়ন সক্রিয় রয়েছে, যা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধিও বটে, সেই সাথে তাদের একটি দাবিনামা আদালতে অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়েছে। এই যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধিসহ সব কর্মীকে এভাবে একসঙ্গে টার্মিনেট করা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন। আমরা শিগগিরই এই টার্মিনেশন চ্যালেঞ্জ করবো।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |