| ১২ জুলাই ২০১৯ | ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ
কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন,”মুমিনগণ,জুম’আর দিনে যখন
নামাজের জন্য আযান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর
এবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। আর এটাই
তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ।(সুরা আলজুম’আ)।
রাসুল (সাঃ)বলেছেন, মুমিনের জন্য জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক
ঈদের দিন।(ইবনে মাজাহ)।
রাসুল (সাঃ) বলেন, হে মুসলমানগণ, জুম’আর দিনকে আল্লাহতায়ালা
তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক)ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারন
করেছেন। তোমরা এদিন মিসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি
লাগাও। (আলহাদিস)।
বিশ্বনবী (সাঃ) আরো বলেন, জুম’আর রাতে বা দিনে যে
ব্যাক্তি ঈমান নিয়ে মারা যায় আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আযাব
থেকে মুক্তি দিবেন,( তিরমিযি শরিফ)।
রাসুল( সাঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি জুম’আর দিনে সুরা কাহাফ পাঠ
করবে, তার জন্য মহান আল্লাহ দুই জুম’আর মাঝে নুরে
আলোকিত করবেন।
আবু উসামা(রাঃ)হতে বর্নিত আছে রাসুল (সাঃ) বলেন, জুম’আর
দিনে গোসল করলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা পাপ ও দূর
হয়ে যায়।(আলহাদিস)।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন,
যে ব্যাক্তি উত্তমরুপে অজু করে জুম’আর নামাজের জন্য
মসজিদে এলো, মনযোগ সহকারে খুৎবা শুনলো, তার
পরবর্তী জুম’আ পর্যন্ত এবং আরো অতিরিক্ত তিন দিনের
গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।আর যে ব্যাক্তি অহেতুক বিনা
প্রয়োজনে জুম’আর দিনে একটি পাথর ও স্পর্শ করলো সে
অনর্থক কাজ করলো।(মুসলিম শরিফ)।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র আলকোরআনে বলেন, জুম’আর নামাজ
সমাপ্ত হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ
ও রিজিক তালাশ করতে থাক এবং আল্লাহকে বেশী বেশী
স্বরণ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা আলজুম’আ)।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে জুম’আর পরিপূর্ণ ফজিলত ও
বরকত লাভ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
লেখক
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
শিক্ষক
জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়
কাজীপাড়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।