| ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ
জাতীয় দাবি মেনে নেয়ার আগ পর্যন্ত সরকারের
সঙ্গে আর কোনো বৈঠকে অংশ নেবেন না
দেশের শীর্ষ আলেমরা।
আজ বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা
শিক্ষাবোর্ড বেফাকের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
বোর্ডের কার্য নির্বাহী কমিটি।
টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে সাধারণ মুসল্লি ও
মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা বিষয়ে জরুরি বৈঠক আহবান
করে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক।
টঙ্গীর মাঠে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ তাবলিগি
সাথীদের উপর সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের হামলার পর
দেশজুড়ে কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ
মানুষের মধ্যে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তার
প্রেক্ষিতে মাদরাসাসমূহের করণীয় নির্ধারণ করতে এই
বৈঠক আহবান করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির কাজলায় অবস্থিত বেফাক
অফিসে এই বৈঠক শুরু হয়ে বেলা ১২. ৩০ তা শেষ হয়।
বৈঠকে টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে সন্ত্রাসী হামলার
প্রেক্ষিতে বোর্ডের নির্বাহী পরিষদ নিম্নোক্ত
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তিন শর্ত মানলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সাথে উলামায়ে
কেরামগণ বৈঠকে বসবেন।
শর্ত তিনটি হলো-
১. টঙ্গীর ময়দান পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
২. ওয়াসিফ নাসিম গংদেরকে কাকরাইল থেকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।
৩. ওয়াসিফ নাসিম গংদেরকে অনতিবিলম্বে
গ্রেফতার করতে হবে।
উল্লেখিত দাবীগুলো মানলে শনিবারের পর উলামায়ে
কেরামগণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সাথে বসবেন।
কর্মসূচি-
বৈঠক থেকে নিম্নোক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়-
ক. আগামীকাল শুক্রবার জুমার বয়ানে হামলার কিছু নজির
উপস্থাপন করা হবে।
খ. জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে।
গ আগামী মঙ্গলবার হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা আহমাদ
শফি সাহেবের উপস্থিতিতে বৈঠক থেকে পরবর্তী
কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলীর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন
আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল
হক, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা
উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুুপুরের পীর),
মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মুফতি বোরহান উদ্দিন, মুফতি শফিকুল
ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ বিন হাফেজ্জি, মাওলানা মাহমুদুল হাসান
প্রমুখ।
তাছাড়া ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের মাদরাসা মুহতামিমগণও বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন।