| ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১২:৫৩ অপরাহ্ণ
দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করে বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে পরিত্যক্ত জেলখানায় রেখে নির্বাচন হতে পারে না। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করবেন, অন্যজন জেলখানায় থাকবেন, এটা হতে পারে না।’
গতকাল শনিবার সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে কোর্টে মামলা হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ কোর্টে বলেছিল— এটা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্বাচন, দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেয়া হবে।’
ড. কামাল বলেন, ‘তখন কোর্ট আমাকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে ডেকেছিলেন। কোর্ট আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন ওই নির্বাচন নিয়ে। তখন বলেছিলাম, এক কথায় বললে তো বলা যায়, এটা কোনো নির্বাচন না। কিন্তু, তারা যখন বলছে পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করেছে, দ্রুত আরেকটি নির্বাচন করবে। তাই সুযোগ দেয়া উচিত।’
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘এখন কথা হচ্ছে, দ্রুত নির্বাচন মানে কি ৫ বছর? এটা কি বাংলা অভিধানে নতুন করে যুক্ত হওয়া শব্দ। অল্প মানে ৫ বছর। ভাওতাবাজির সীমা থাকা উচিত। ভাওতাবাজিতে তাদের গোল্ড মেডেল দেয়া উচিত। আমরা এখন ভাওতাবাজি থেকে মুক্তি পেতে চাই।’
ড. কামাল বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলাম। আমরা দেশকে আবার পরাধীন বানাতে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। তারা ভোটের মাধ্যমে দেশের শাসনক্ষমতা নির্ধারণ করবে। কিন্তু দেশের মানুষকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
‘তারা কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমরা পরিস্থিতির আলোকে এই নির্বাচন নিয়েছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন দেব। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেল। দ্রুত কথার অর্থ যে পাঁচ বছর তা আমরা জানতাম না’, বলেন ড. কামাল।
এজন্য ভাঁওতাবাজির মেডেল থাকলে তাদের দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |