এমডি সালাহ্উদ্দিন | ২৮ জুলাই ২০১৮ | ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ
গ্রামের এক দম্পতি, বিয়ের কিছুদিন পর তারা দুজনই চলে গেলেন বিদেশ।
যাবার আগে, গ্রামের এক চৌকশ যুবকের হাতে বুঝিয়ে দিলেন বাড়ির দায়িত্ব।
বাড়ি ঘরের কোথায় কি আছে, সবকিছু এক এক করে দেখালেন তাকে।
কোন সিন্দুকে সোনা, কোনটায় টাকা পয়সা, কোনটায় দরকারি কাগজপত্র, ব্যাংকের চেক এবং আরো যেখানে যা কিছু আছে।
বললেন, এই সবকিছু তুমি সংরক্ষণ করবে এবং বাড়ি থেকে যা আয় উৎপাদন হয় সে গুলো ভোগ করবে, এবং নির্ধারিত বেতন তো পাবেই।
বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে যুবক তার দায়িত্ব পালন করতে শুরু করলেন।
প্রথমে সে হাত দিলো অর্থ ভান্ডারে, অর্থ ভান্ডার শেষ হবার পর ব্যাংকের চেক নিয়ে শুরু করলো সই জালিয়াতি, ব্যাংকের টাকা প্রায় শেষ, তারপর হাত দিলো সোনার ভান্ডারে, বেশ আয়েশেই যাচ্ছিলো দিনকাল।
ঘটনাক্রমে হঠাৎ একদিক যুবকের কাছে মনে হলো, সবি যে শুধু খাচ্ছি, মালিকের জন্য কিছু করাও তো দরকার!!
যেই ভাবা সেই কাজ, তড়িঘড়ি করে কিছু ইট কিনে এনে বাড়ির চারপাশে তুলে দিলো দেয়াল।
এবার, বাড়ির একটি ছবি তুলে মালিকের কাছে পাঠিয়ে, লিখে দিলো যে- মালিক, আমি তো আপনার বাড়ির অনেক উন্নয়ন ঘটিয়েছি, দেখুন, বাড়ির চারপাশে কেমন দেয়াল তুলে দিয়েছি, এবং অনেক ওষধি ও ফলজ গাছও লাগিয়েছি।
মালিক দেখলেন, খুবই সুন্দর হয়েছে, তিনি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক তেমনই।
ভাবলেন, ছেলেটা তো জিনিয়াস!
আমি যেমন ভেবেছিলাম ঠিক তেমনটাই সে করে ফেলেছে, ছবিটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলেন এবং বেশ খুশি হলেন।
সে নিয়ে মালিক তার বেশ প্রশংসা করলেন, অনেকের সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলেন।
মালিকের কথা শুনে, অনেকেই তার প্রশংসা করে শুভেচ্ছা পত্র পাঠালো, কেউ কেউ পাঠালো, সততার সনদপত্র এবং আরো নানান প্রকারের ডিগ্রী।
যুবক তো মহা খুশি, এলাকায় ঘুরে ঘুরে এইসব প্রশংসাপত্র, সনদপত্র আর ডিগ্রী দেখায় এবং নিজের গুণ কীর্তন গায়।
সেই দেখে এলাকার কিছু বেকার যুবক ছেলে মেয়েরাও তার পাশে জুটে যায়। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে তার জীবনযাত্রা।
মাঝে মাঝে চায়ের দোকানে বসে এলাকার যুবকদেরকে চা বিড়ি খেতে দেয়, আর যুবকেরা তাকে নিয়ে মিছিল করে।
একসময়, এই যুবকদের ডাকে তার জন্য আয়োজন করা হলো বিশাল গণসংবর্ধনা,
দেয়া হলো বিশেষ সম্মাননা, বেশ দিন যাচ্ছে ভালই।
দীর্ঘ নয় বৎসর পর, কিছু না জানিয়েই হঠাৎ একদিন মালিক চলে এলেন বাড়িতে।
বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখলেন, বাহ,, চমৎকার হয়েছে সবকিছু।
আরো বেশ প্রশংসা করলেন যুবকের, তারপর গেলেন বাড়ির ভিতর, ঘরে ঢুকে প্রথমে খুললেন অর্থ ভান্ডার (টাকার সিন্দুক) ভেতরে কিচ্ছু নেই, তারপর গেলেন সোনা ভান্ডারে, খুললেন, ভেতরে কিচ্ছু নেই, কাগজপত্রের সিন্দুক খুলে চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলেন, ব্যাংকে কোন টাকা নেই।
রান্না ঘরের কাছে, রান্না বান্নার জন্য একটা ছোট ঘরে রাখা ছিলো কিছু কয়লা, সেটা খোলে দেখলেন কোন কয়লাও নেই।
তারপর কি হয়েছিলো জানিনা।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |