• শিরোনাম


    কয়লার পর এবার ৫৬ কোটি টাকা মূল্যের ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৭ টন পাথর গায়েব।

    | ০৭ আগস্ট ২০১৮ | ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

    কয়লার পর এবার ৫৬ কোটি টাকা মূল্যের ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৭ টন পাথর গায়েব।

    কয়লা কেলেঙ্কারির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) প্রায় ৫৬ কোটি টাকা মূল্যের ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৭ টন পাথরের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। এমজিএমসিএল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পরিমাপগত ক্রটি, সিস্টেম লস বা পদ্ধতিগত লোকসান ও মাটির নিচে দেবে গেছে বলে দাবি করেছে। কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে গত ২৯ জুলাই এমজিএমসিএল বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) ও মধ্যপাড়া খনির নব-নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    জানা গেছে, মধ্যপাড়া খনি উন্নয়নকালীন পিরিয়ডসহ ২০০৭ সালের ২৫ মে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার পর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা হয়েছে ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন। গত ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত এমজিএমসিএল বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপিত রিপোর্টে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর থেকে ২০১২-২০১৩ অর্থবছর পর্যন্ত পরিমাপগত ক্রটি ও সিস্টেম লস দেখানো হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৬ মেট্রিক টন পাথর খনি ইয়ার্ডে মাটির নিচে দেবে গেছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ মোট ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৬.৮৯ টন পাথরের মূল্য বাবদ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৮ টাকা অবলোপন করার জন্য এমজিএমসিএল বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।



    এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) ও মধ্যপাড়া খনির নব-নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- পেট্রোবাংলার ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন, আনোয়ার হোসেন খান ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক রাজেউন নবি।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমজিএমসিএল’র দায়িত্বশীল দু’জন কর্মকর্তা জানান, মধ্যপাড়া খনির পাথরের পরিমাপগত ক্রটি, সিস্টেম লস বা পদ্ধতিগত লোকসান ও মাটির নিচে দেবে যাওয়ার বিষয়ে এমজিএমসিএল বোর্ড এবং পেট্রোবাংলাকে সময়ে সময়ে জানানো হয়েছে। এরপরও এতদিনেও বিষয়টি সমন্বয় বা অবলোপন না করা দুঃখজনক। খনির অপর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২০০৬-২০০৭ থেকে ২০১২-২০১৩ অর্থবছর পর্যন্ত খনি বাস্তবায়নকারী উত্তর কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান নামনাম কর্তৃক উৎপাদনের সময়ে পরিমাপগত ক্রটি ও সিস্টেম লস দেখানো হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের পর আর পরিমাপগত ক্রটি ও সিস্টেম লস নেই। এরপর থেকে মাটির নিচে দেবে গেছে বা মাটিই খেয়ে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে তিনি মনে করেন।

    মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের নব-নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) জাবেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ২৯ জুলাই এমজিএমসিএল বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয় বলে তিনি জেনেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানেন না এবং কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারবেন না।

    সূত্রঃ ইত্তেফাক/এমআই

    Facebook Comments Box

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • ফেসবুকে আওয়ারকণ্ঠ২৪.কম