| ২৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১২:৪৪ অপরাহ্ণ
ভালো কাজের সঙ্গে ব্যাংক লুটও হয়েছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক,Prothom a
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদখোন্দকার ইব্রাহিম খালেদবর্তমান সরকারের আমলে ভালো কাজ যেমন হয়েছে, তেমনি সাংঘাতিকভাবে ব্যাংক লুটও হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাই ভোট দেওয়ার সময় প্রত্যেকের অতীত কেমন তা বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন ‘আসন্ন নির্বাচন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে।
প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘দুই দলের দুই রকমের চরিত্র। এটা জনগণকে বুঝতে হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ধারা বজায় রাখতে ভোট দিতে বলে। আর বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে ভোট দিতে বলে। আমরা সন্ত্রাসের গণতন্ত্র চাই না।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের যে উন্নয়ন তাতে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। শুধু নির্বাচন কিন্তু গণতন্ত্র নয়, তবে অপরিহার্য অঙ্গ।’
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নতুন এক অধ্যায় শুরু হবে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে নানা চ্যালেঞ্জ আছে, যা উদ্বেগের কারণ। কারণ, এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি আছে। কোনোভাবেই যেন বিপক্ষের শক্তি দেশের দায়িত্বে না আসতে পারে, সে ব্যাপারে জনগণকে খেয়াল রাখতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, সামনে চ্যালেঞ্জ আসছে। এই সময়টায় গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী নাসির আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ তার আপন পথে থাকবে, এগিয়ে যাবে এবং মর্যাদা সমুন্নত রাখবে—এটা গণমাধ্যমকর্মীদের অঙ্গীকার হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মো. আলী সিকদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ।