| ১৭ এপ্রিল ২০১৯ | ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমেদ শফী বলেছেন, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলমান ঘোষণা করতে হবে। তারা মুসলমান নয়, তারা অমুসলমান। তাদের যারা অমুসলমান মনে করে না তারাও অমুসলমান। কাদিয়ানীরা আমাদের শেষ নবীকে মানে না, সুতরাং তারা কাফির। যারা তাদের কাফির মানে না তারাও কাফির। কাদিয়ানীদের ছেলেদের সঙ্গে মুসলমানদের কোনও মেয়েকে বিয়ে দেবেন না, কাদিয়ানীদের মেয়েদেরও কোনও মুসলমান ছেলেকে দিয়ে বিয়ে করাবেন না। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলমান ঘোষণা করতে আমরা শেখ হাসিনা সরকারকে অনুরোধ করবো।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম মাঠে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী।
আল্লামা শফী লিখিত বক্তব্যে বলেন, কাদিয়ানীদের মুসলমান কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। কাদিয়ানীদের কোনও প্রকার সাহায্য করবেন না। যাদের আত্মীয় স্বজন টাকা পয়সা নিয়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনুন।
তিনি আরও বলেছেন, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে নবী দাবি করেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার অনুসারি কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও ১৯৯৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে এরা কাফের সাব্যস্ত হয়েছে। অবিলম্বে এই রায়কে কার্যকর করার দাবি জানাই। তিনি বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে সংখ্যালঘু হিসেবে থাকতে দেওয়ার আহ্বান জানান।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন,আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা আবদুল হক আজাদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান মমতাজী, মাওলানা শুয়াইব ইবরাহীম, মাওলানা ড. আ.স.ম. শোয়াইব আহমদ, মাওলানা ওসমান গণী সালেহী।
সকাল থেকে পঞ্চগড়সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে লাখো মুসল্লি স্টেডিয়াম মাঠে এসে জড়ো হন। আল্লামা শাহ আহমেদ শফী দুপুরে স্টেডিয়াম মাঠে আসেন। পৌনে ২টার দিকে তিনি বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সোয়া ২টায় তিনি বক্তব্য শেষ করেন। এরপর মোনাজাতের মাধ্যমে খতমে নবুওয়াতের সম্মেলন শেষ হয়।