• শিরোনাম


    কাতারে একদিনের জোড় ইজতেমায় অনুষ্ঠিত

    কে.এম. সুহেল আহমদ,কাতার থেকেঃ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

    কাতারে একদিনের জোড় ইজতেমায় অনুষ্ঠিত

    কাকরাইল মারকাজের তাবলীগের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল মতীন বলেন,
    যার দিলে আল্লাহ আছেন তার দিল শান্ত।আমাদের সবাইকে ঈমান বানানোর ফিকীর করতে হবে। আমাদের উপর তিনটি জিম্মাদারী আল্লাহ দিয়ে দিছেন। তার মধ্যে
    প্রথমতঃ আমাদেরকে ঈমানের হেফাজত করতে হবে।
    দ্বিতীয়তঃ ঈমানকে বাড়াতে হবে।
    তৃতীয়তঃ ঈমানের সাথে মৃত্যু হওয়ার জন্য প্রত্যেককে ঈমান ও আমলের মেহনত করতে হবে।
    তিনি বিগত ৩০ নভেম্বর(শুক্রবার) এ অনুষ্ঠিত কাতার’র তাবলীগের মারকাজে একদিনের জোড় ইজতেমার নসীহতপূর্ব আলোচনায় উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন।
    বিপুল সংখ্যক কাতার প্রবাসী বাংলাদেশী ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের উপস্থিতিতে মাওলানা আব্দুল মতীন আরো বলেন,
    আল্লাহ সুবহানাতা’লা এই পৃতিবীতে মানব জাতীর জন্য তিনটি আইন অবধারিত করে দিয়েছেন। যেমন, প্রথমতঃ এই জগতে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। অর্থাৎ তাদের জন্য মৃত্যু অবধারিত।
    তাই দুনিয়ার জিন্দেগীতে ততটুকু মেহনত কর যতদিন দুনিয়ায় বেঁচে থাকবে আর আখেরাতের জন্য মেহনত কর যতদিন আখেরাতে থাকতে হবে।
    দ্বিতীয়তঃ সমস্ত মানব জাতীকে খালি হাতে কবরে যেতে হবে। সঙ্গে কিছুই যাবেনা।
    তৃতীয়তঃ দুনিয়াতে যা আমল করবে সেই আমল তার সঙ্গে যাবে।চাই সে বেশি আমল করুক বা কম করুক।
    এই জন্য দিনে রাত্রে আপনি যেই আমল করেন না কেন সব বিষয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা অবগত আছেন।
    এজন্য প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত সময় থাকতে তাওবা ও ইস্তেগফার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আর এমন বান্দাকেই আল্লাহ ভালবাসেন এবং তার রহমতের দয়া দ্বারা তাকে ক্ষমা করে দিয়ে পরকালে জান্নাত দান করেন।
    মরণ শুধু দুনিয়াতে আখেরাতে নয় ।যে জীবন শুরু হবে কিন্তু শেষ হবেনা।
    সেই শেষ না হওয়া সময়টুকু সুখ আর শান্তিতে কাটাতে হলে দুনিয়াতে আল্লাহর হুকুম আর তার প্রীয় রাসূল( সাঃ) এর তরীকা মত দুনিয়ার জীবন অতিবাহীত করে দৌলতে ঈমান নিয়ে যেতে হবে। তবেই হতে পারো সফলকাম।
    নিজেদের পরিবার,পরিজন ও ছেলে- মেয়েদের দ্বীনের শিক্ষা দিতে হবে এবং তদনুযায়ী আমল করার তাগীদ দিতে হবে।
    সুৎরাং আল্লাহ’র কাছে বংশ মর্যাদার কোন দাম নেই।দাম আছে শুধু ঈমান আর আমলের।
    ঈমান আর আমলেরর মত দৌলত নিয়ে যারা দুনিয়া থেকে চলে যাবেন তারাই কামিয়াবী।অন্যথায় এ দৌলত থেকে যারা বঞ্চিত তারা নাকামিয়াবী অর্থাৎ পরকালে জাহান্নামী হবে।
    অতএব আমাদের সকলকে ঈমান আর আমল বানানোর প্রেক্ষিতে দাওয়াতে তাবলীগের মেহনতের মত বিকল্প কিছু নেই।
    উল্লেখ্য যে, আগামী ১৮,১৯ ও ২০ জানুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমাকে সফল ও স্বার্থক করে তুলার নিমিত্ত্বে এই জোড় ইজতেমা।
    একদিনের এই জোড় ইজতেমায় বরণ্যে উলামায়েকেরাম ও তাবলীগের মুরব্বীগণ সহ কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতি ছিল বিপুল সংখ্যক।
    মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও বাংলাদেশের আগামী ইজতেমা সফল ও কামিয়াবীর লক্ষ্যে মোনাজাতের মধ্য দিয়েই শেষ হয় দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।

    Facebook Comments Box



    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
    ১০১১১২১৩১৪
    ১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
    ২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
    ২৯৩০  
  • ফেসবুকে আওয়ারকণ্ঠ২৪.কম