মুফতি তৈয়্যব হোসাইন মোহতামিম মার্কাজুল কুরআন বাংলাদেশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২:৩১ অপরাহ্ণ
কাকরাইল মার্কাজ দখলের আরো একটি মহড়া তথাকথিত সাদপন্থী ইতাআতী গ্রুপের অনুসারীরা রাতের আধারে প্রদর্শন করার দুঃসাহস দেখাল গতরাতে । এর একটা সুরহা অচিরেই না করা গেলে ইসলামের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা । তা না হলে গোমরাহী আর ভ্রষ্টতা আরো জেকে বসবে হকপন্থী এই জামাতের ওপর । যে আশঙ্কা স্বয়ং হযরতজী মাওলানা ইলয়াছ রহ:-ও করেছিলেন ।
বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানরা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে যে অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেহনত করে যাচ্ছেন, তা উলামায়ে কেরামের দিক- নির্দেশনারই ফসল । ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায় যে, মুজাহিদে আযম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ:
সর্বপ্রথম ঢাকার লালবাগ শাহী মসজিদকে মার্কাজ বানিয়ে খুলনার হযরত মাওলানা আবদুল আযীয রাঃ’কে দাওয়াত ও তালীগের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় কাকরাইলে এর মার্কাজ স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও উলামায়ে দেওবন্দের তত্ত্বাবধানে এই মহান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে অর্ধশতাব্দীকাল ধরে । ইদানিং বেশ কয়েক বছর ধরে ইসলামের অতি দরদী সেজে একটি ক্ষুদ্র আধুনিক শিক্ষিত গ্রুপ মাওলানা সাদের ইতাআতের শ্লোগান তুলে ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ময়দানে নেমেছে । ইসলামের নামে মাওলানা সাদ যে সব বক্তব্য সম্প্রতিকালে প্রদান করেছেন, উলামায়ে কেরামের ভাষ্য মতে তা মওদূদী ফেতনা থেকেও ভয়ঙ্কর। এজন্য উলামায়ে দেওবন্দ সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা সাদের ইতাআত নাজায়েয আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও এ দেশের একটি ক্ষুদ্র ইতাআতী গ্রুপ মাওলানা সাদের পক্ষে ময়দানে নেমে সন্ত্রাসী ভূমিকা পালন করে দাওয়াত ও তাবলীগের অপরিসীম ক্ষতি সধন করে যাচ্ছে। এরা ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আজ উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে উলঙ্গ হয়ে ময়দানে নেমেছে । এদের ষড়যন্ত্র থেকে জনগণকে সতর্ক করতে হবে। সেই সাথে কাকরাইল মার্কাজকে এদের ষড়যন্ত্র থেকে বাচানোর জন্য সেখানে প্রতিষ্ঠিত দ্বীনি মাদরাসাটিকে একটি বড় মাপের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত একটি মাদরাসা গড়ে তুলে দেশের শীর্ষ আলেম ও শায়খুল হাদীসদের প্রয়োজনে বিনা অযিফায় দরস দিতে হবে। ৪/৫ হাজার ছাত্র দাওরায়ে হাদীস পড়তে পারে এমন ব্যবস্থা উলামায়ে কেরামের দ্বারা গঠিত উপদেষ্টা পরিষদকে নিতে হবে এখন-ই। এমন একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা গেলেই দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতকে সঠিক পথে পরিচালনা করা যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস । এটি আগামী রমযানের পর পর বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে । আর এই সময়টাতে সারা দেশে ওয়াযাহাতি জোড় চালিয়ে যেতে হবে অব্যাহতভাবে । সাধারণ তাবলীগী সাথীদের সাদপন্থীরা গোমরাহ না করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে বিশেষভাবে । আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের সহীহ সমঝ দান করুন আমিন ।