| ২৭ মার্চ ২০২০ | ৪:৫০ অপরাহ্ণ
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রহিম রাজ বলেন এই পয়েন্টগুলো সম্পর্কে অবশ্যই মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রথম সতর্কতা সবচেয়ে বেশি আল্লাহ্ কে স্বরণ করতে হবে!
আল্লাহ’ই একমাত্র রক্ষক সকল বালামুসিবত বিপদআপদের।
আসুন আল্লাহ কে ডাকি ইমান আমলের উপর বিশ্বাস গড়ে তুলি।
১.সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং নিজেও সচেতন থাকতে হবে।
২.বিড়ি/ সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে,এতে করোনা ঝুকি ১৪গুন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
৩.এখন সমাজিক বা ধর্মীয়ভাবে সবচেয়ে লোক সমাগম হয় মসজিদে,এতে মসজিদ বন্ধ করা নয়!সচেতনতার প্রয়োজন, ওজুর স্থানে সাবানের ব্যবস্থা করে রাখা ওজুর আগে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ওজু করা।
৪. মসজিদের ফ্লোর/মেজে প্রতি নামাজের পর না হয় প্রতিদিন একবার হলেও ডিটারজেন্ট দিয়ে মুছে দেয়ার ব্যাবস্থা করা।
৫. মসজিদে যদি গামছা থাকে ওজুর পরে হাত মুখ মুছার জন্য তাহলে এখন কয়েক দিন এই গামছা ব্যাবহার থেকে সবাইকে বিরত থাকা।
৬.বাজারের চা’য়ের স্টলে আড্ডা না জমানো ও চা খাওয়া থেকে মানুষদের বিরত রাখা।
বিশেষ চায়ের নেশার প্রয়োজনে ওয়ান টাইম কাপে চা খাওয়া।
৭.এলাকার শিক্ষাহীন মানুষদের এই করোনা সম্পর্কে বুঝানো, এ সময় যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়।
৮.বিদেশ ফেরতদের ও তাদের পরিবারকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা।
৯.করোনা আক্রান্তের লক্ষন সম্পর্কে এলাকার মানুষদের সচেতন করা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা।
১০.কারও সর্দি কাশি হলে তাদের সচেতন করা জনসমাগম থেকেও যেন তারা আলাদা থাকে,এমন কি পরিবারের লোকজন থেকেও।
১১.আশেপাশে কারও মধ্যে করোনার লক্ষন প্রকাশ পেলে তাকে ডাক্তারি সেবা কিভাবে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা।
প্রয়োজনে রোগ তত্ব বিভাগকে যানানো বা স্থানীয় স্বাস্থ বিভাগ কে জানানো।
১২. সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ও কয়েকঘন্টা পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
১৩. বাহিরে কোথাও দীর্ঘক্ষন সময় আড্ডা/ভ্রমণ শেষে বাড়িতে এসে প্রথমেই গোসল করে নেয়া।
১৪. খালি হাতে নাকে,চোখে না ধরে টিস্যু/রুমাল ব্যাবহার করা।
১৫. ঘর, ঘরের আশপাশ, বাথরুম ইত্যাদিতে পানির সাথে হালকা ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে কয়েকঘন্টা পর পর স্প্রে করা।
১৬. সবসময় জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
১৭. যতদুর সম্ভব প্রয়োজন ব্যাতিত ঘর/বাড়ির বাহিরে না যাওয়া। আর গেলেও খুব দ্রুত ফিরে আসা এবং পরিবারের সাথে সময় দেয়া।
১৮. করোনার ভয়াবহতা সবার সামনে তুলে ধরা।
১৯. আতঙ্কিত না হয়ে বেশি করে আল্লাহ্ কে স্বরণ করা এবং সাহসের সাথে সতর্ক থেকে তা মোকাবেলা করা।
হে আকাশ ও জমিনের মালিক আল্লাহ্, আপনি সবাইকে করোনা নামক রোগ থেকে বাচান।