| ২৭ নভেম্বর ২০১৮ | ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ
সৌখিনের জন্য কবুতর পালন অথবা আর্থিক সমস্যা
সমাধানে আমরা সবাই কমবেশি কবুতর পালন করে থাকি।
প্রত্যেক প্রাণীদের রোগ হয়,সাথে অবশ্যই তার
প্রতিকার থাকে।
কবুতর যেকোন কারণে অসুস্থ হওয়ার পরই আমরা হতাশায়
পড়ে যাই,তারপর আমরা অনেক মানুষের কাছে যাই তার
সমাধানের জন্য এবং তাতে অনেক টাকা ব্যয়
হয়,তারপরও কবুতরের রোগ নিরাময়ে আমরা অক্ষম হয়ে
পড়ি। কবুতর হোক আর যেই পাখি হোক আমরা তাদেরকে
হাই এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে থাকি,যার দরুণ দিন
দিন কবুতরের সুস্থ হওয়ার বদলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মূল কথায় আসা যাক।
আমার ফার্মে সকল পাখিদের আমি প্রাকৃতিক ঔষধ
নিজে বানিয়ে প্রয়োগ করে থাকি।
আপনাদেরকে ও বলছি,দয়া করে কবুতরকে
এন্টিবায়োটিক ঔষধ না দিয়ে চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক
ঔষধ দিতে।
কবুতরের কৃমি রোগ এটা অত্যন্ত মারাত্বক একটি রোগ।
কবুতরের কৃমি রোগের কিছু লক্ষণ নিম্নে তুলে ধরা
হলো………
↓
★ ক্ষুদা কমে যাওয়া।
★কবুতর দুর্বল হয়ে যাওয়া।
★অস্বাভাবিকভাবে পায়খানা করা।
★অনেক বেশি পিপাসা লাগা।
★বমি করা
★কবুতরের পাখা ঝুলে যাওয়া।
★সারাক্ষণ ঝিমিয়ে থাকা।
★কবুতরের স্বাস্থ্য কমে যাওয়া।
★সবুজ ডায়রিয়া হওয়া।
↓
প্রাকৃতিকভাবে কবুতরের কৃমি প্রতিরোধে মাত্র দুইটি
জিনিস ব্যবহার করতে হবে।
১) নিমপাতা
২) কালোজিরা
আপনার কবুতর যদি খুব বেশি হয় তাহলে ১০০ গ্রাম
নিমপাতা ও ১০০ গ্রাম কালোজিরা নিয়ে মিক্স করতে
হবে,কবুতর কম হলে ৫০গ্রাম নিমপাতা ও ৫০ গ্রাম
কালোজিরা নিয়ে মিক্স করে ভালভাবে পিষে ছোট
ছোট গোল বড়ি করে রোদে শুকিয়ে রাখতে হবে।
১ গ্রামের হিসেবটি হলো আপনার তিন আঙুলের সমষ্টি
যে একচিমটি জিনিস উঠবে তাই ১গ্রাম হিসেবে ধরা
যায়।
একটা কথা মাথায় রাখবেন,কবুতর তার খাবার গ্রহণ
করার ৫/৬ ঘন্টা পর আপনি এই বড়িটি তাকে খাইয়ে
দিবেন। সকালে ও দিতে পারেন। আর হে, বড়িগুলো যেন
খুব বেশি বড় না হয়।
একটা বড়ি খাওয়ানোর তিনদিন পর আরেকটি বড়ি
খাওয়াবেন।
৪৫/৫০ দিন পর পর আপনি কবুতরকে কৃমির এই প্রাকৃতিক
ঔষধ দিবেন।
অতি গরমে এটা দেয়া যাবেনা।
প্রাকৃতিক এই কৃমির ঔষধে কোনো রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
সবাই ভাল থাকুন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |