নেয়ামত উল্যাহ তারিফ:বিশেষ প্রতিনিধি | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৫:১৭ অপরাহ্ণ
(পর্ব০১
আমরা সকলে অবগত আছি ছাত্ররা হলো জাতির ভবিষ্যৎ। আমাদের দেশে অত্যধিক জনসংখ্যার ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা রূপ নিয়েছে তীব্র প্রতিযোগিতায়। অনেক সময় এ তীব্র প্রতিযোগিতাকে যুদ্ধের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। যেমন: ‘ভর্তি যুদ্ধ’। আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র থাকাকালে কিংবা ছাত্রজীবন শেষে চাকরির সন্ধানে উঠেপড়ে লাগতে হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তখন বেকারদের পকেট যে নিতান্তই ফাঁকা থাকে, এটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এই বেকারত্বের ওপর বরাবরই চেপে বসছে সরকারি-বেসরকারি চাকরির আবেদনের মাত্রাতিরিক্ত ফি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ মাঈন উদ্দিন মাহবুব।
বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনে ফি না লাগলেও এর বাইরে সব সরকারি চাকরির আবেদনে উচ্চ হারে ফি আদায় করা হচ্ছে। তা ছাড়া কম্পিউটার নেই এমন প্রার্থীদের দোকানে গিয়ে আবেদন করতেও খরচ বাড়ে।
এক মন্তব্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জাবেদ হোসেন জুয়েল বলেন, নিয়োগ পরীক্ষাগুলো বেশির ভাগ ঢাকাতে হওয়ায় যাতায়াত খরচ মাথার ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দায়িত্বশীলদেরকে বুঝতে হবে বেকাররা এত টাকা কোথায় পাবেন ?
বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখিতে নিয়োগদাতারা হাসিমুখে বলে থাকে, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সার্বিক ব্যয় মেটাতে এই ফি নেওয়া হয়। অথচ দেখা যায়, যত টাকা ব্যয় হয় তার থেকেও কয়েক গুণ বেশি ফি তারা আদায় করছে।
সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে দৈনিক লাখোকণ্ঠের কাতার প্রতিনিধি আবুল কালাম ফয়সাল বলেন, সরকার কি পারবে বেকারত্বকে পুঁজি করে ব্যবসা করা বন্ধ করতে ? বিশ্বের উন্নত দেশে যেখানে বেকার ভাতা দেওয়া হয়, আমাদের দেশে কেন বেকারদের ওপর আবেদন ফি চাপিয়ে দেওয়া হয় ? আমরা কি কোনো দিন উন্নত বিশ্বের মতো রোল মডেল হতে পারব না ?