| ১৭ এপ্রিল ২০১৯ | ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ- এর দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)- এর ফজিলত মারহালার পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রতি আল্লামা শাহ্ আহমাদ শফী বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল (১৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ আহ্বান জানান। ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রতি আল্লামা শাহ্ আহমাদ শফী বিশেষ আহ্বানটি হুবুহ তুলে ধরা হলো।
“নাহমাদুহূ ওয়া নুছল্লী ’আলা রসূলিহিল কারীম। আম্মা বা’দ…
আল হাইআতের অধিনে দুটি পরীক্ষা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর অধিনে ৪১ টি কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কোন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মত কোন অনাকাংখিত ঘটনা আর ঘটেনি। অথচ এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল উম্মাতের মাঝে ইত্তেফাক – ইত্তেহাদ গড়ে তোলা, সর্বপ্রকার বাতিলের মোকাবালা করা, আসলাফ ও আকাবিরের নকশে কদম মতে চলা, সুন্নাতে নববীর নশর ও ইশা’আত এর মাধ্যমে আমলী যিন্দেগী গড়ে তোলা উম্মতে মুসলিমাকে সঠিক পথের রাহবরী করা, মাদারিসে কাওমিয়ার তা’লীম-তারবিয়্যাতের মানোন্নয়ন করা। ’
উলামা-তালাবার সুপ্ত মেধাবিকাশ ঘটাবার নতুন নতুন উন্নত পদ্ধতি উদ্ভাবন ও চালু করা। বাতিল যেভাবে আত্মপ্রকাশ করবে হক তার চেয়ে উন্নত পদ্ধতিতে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়ে বাতিলকে ধূলিস্যাত করে দিবে। বাস্তবমুখী আদর্শ মানব গড়ার কারখানা তৈরী করে রিজালুল ফিকরি ওয়াদ্দাওয়াহ তৈরী করবে ।
কিন্তু আজ এ বিশাল খেদমাত ও মকবুল এদারাকে বদনাম করার হীন উদ্দেশ্যে এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদের মান মাস্টার্স- এর সমমান সরকারীভাবে প্রদান করাকে তারা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। তাই ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত জঘন্যতম ঘৃণিত কাজ করতে তারা একটুও দ্বিধাবোধ করেনি।
লক্ষ লক্ষ ছাত্রের জীবন বিনষ্ট করতে তারা একটুও কুন্ঠিত হয়নি। তবে জেনে রাখুন! যারা এ ঘৃণিত কাজে জড়িত তাদের হাত যত বড়ই হোক বিচারের কাঠগড়ায় তাদেরকে দাঁড়াতে হবে- ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অচিরেই তারা জাতীর সামনে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন এবং প্রকৃত দোষী মহলকে আইনের আওতায় আনা হবে- ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে আমার প্রানপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক ও অভিভাবক এবং কওমী মাদরাসার সাথে সম্পৃক্ত সকল ভাই বোনদের প্রতি বিশেষ আবেদন, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ইং হতে তাকমীল এবং ফযীলত মারহালার পুন: পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুন। বেফাক ও হাইআতুল উলয়া-এর চলমান গতিধারাকে এগিয়ে নিবেন। আমি সকলের মঙ্গলের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। আল্লাহ পাক সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।”
প্রসঙ্গত, ৮ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) এর ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা ও আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ- এর দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষা শুরু হয়। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ফজিলত ২য় বর্ষের (মেশকাত জামাত) ও দাওরায়ে হাদীসের সকল পরীক্ষা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |